Naya Diganta

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানের জয়

ইংল্যান্ডের বিপেক্ষে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তানের জয়

গা ছমছমে ম্যাচে পাকিস্তানের জয় ৩ রানে। কখন কার দিকে খেলা হেলে পড়ছে, বুঝাই যাচ্ছে না কিছুতে। কখনো পাকিস্তান ম্যাচে ফিরছে, কখনো ইংল্যান্ড ফিরে আসছে। কখনো পাকিস্তান হঠাৎ চমকে দিচ্ছে, কখনো ইংল্যান্ড ভড়কে দিচ্ছে। তবে সবার শেষে জয়টা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানের ঘরে।

সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। দুই দলের একাদশেই একাধিক পরিবর্তন। পাকিস্তান একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন হায়দার আলি ও দাহানি। তাদের জায়গায় এসেছেন আসিফ আলী ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। আগের ম্যাচে সহজ জয় পেলেও তিন পরিবর্তন ইংলিশ শিবিরে। মালান বাদ পড়েছেন, হেলস ফিরেছেন। স্যাম কুরানের বদলে ডেভিড উইলি এসেছেন। আর আগের ম্যাচের সেরা বোলার মার্ক উডের বিপরীতে অলে স্টনের অভিষেক হয়েছে।

ব্যাটিংয়ে নেমে দুই রাতের বিপরীতে পুরনো রূপে বাবর-রিজওয়ান। পাওয়ার প্লেতে ৫২ রানের জুটি, ১০ ওভার শেষে ৮২। রিজওয়ানের ব্যাটে ততক্ষণে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ২০ তম ফিফটি। অবশেষে ১২ তম ওভারে লিয়াম ডসন প্রথম আঘাত আনেন পাকিস্তানের দূর্গে। দলপতি বাবর ফিরেন ৩৬ রানে। শান মাসুদও ইনিংস বড় করতে পারেননি, খুশদিল আবারও ব্যর্থ। ফলে পাকিস্তানকে থামতে হয় ১৬৬ রানে। যার অর্ধেকেরও বেশী রান এসেছে রিজওয়ানের ব্যাটে। ৬৭ বলে ৮৮ রান এই ওপেনারের নামের সাথে।

জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ভীমরতিতে ইংল্যান্ড। ১৪ রানেই হারিয়েছে ৩ উইকেট। হেলস-সল্টের ব্যাট হাসেনি, শূন্যতেই ফিরেছেন উইল জ্যাকস৷ তবে হেসেছেন হাসনাইন, তার ঝুলিতে দুই উইকেট। তবে গলার কাঁটা তো সেই হ্যারি ব্রক আর বেন ডাকেট। ২৪ বলে ৩৩ করে বেন ডাকেট ফিরে গেলে তখনো ৭৬ বলে ১০৯ রান প্রয়োজন জয়ের জন্যে। দারুণ খেলতে থাকা মইন ২০ বলে ২৯ করে ফিরেন নাওয়াজের তৃতীয় শিকার হয়ে।

হ্যারি ব্রক আজ আর হাত খুলতে পারেননি। ফিরেছেন ২৯ বলে ৩৪ করে৷ শেষ ২১ বলে ৩৭ রান যখন প্রয়োজন, তখন ব্যাটসম্যান বলতে শুধুই লিয়াম ডসন। সেই ডসনেই কপাল যেন পুড়ে পুড়ে পাকিস্তানের। যেই হাসনাইনে শুরুতে হেসে উঠেছিলো পাকিস্তান, সেই হাসনাইনকেই ভিলেন বানিয়ে ১৮ তম ওভারে সংগ্রহ করেন ২৪ রান। ১৯ তম ওভারে ডসন যখন সাজঘরের পথে, ১৭ বলে ৩৪ করে ইংল্যান্ডকে প্রায় পৌঁছে দিয়েছেন জয়ের বন্দরে। ৯ বলে প্রয়োজন মাত্র ৫ রান।

হারিস রউফের শিকার হয়ে ডসন যাওয়ার পরের বলেই ফিরে গেছেন ওলে স্টোন। সবার মনেই তখন অজানা শিহরণ। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ১ উইকেট আর ইংল্যান্ডের ৪ রান। তবে ওভারের প্রথম বলেই টপিলি রান আউট হলে পাকিস্তানই জিতে যায় অবশেষে। এই জয়ের ফলে দুই দলেরই সমান সমীকরণ। সাত ম্যাচের সিরিজে সমান দুই ম্যাচ করেই জিতেছে দুই দল।