Naya Diganta

ওয়ালটন স্মার্ট টিভি, বিক্রি হচ্ছে বৃহৎ রিটেইল স্টোর ডিড ইলেকট্রিক্যালে

আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটনের শোরুম

চলতি বছরের এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি রফতানি শুরু করে বাংলাদেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে ইতোমধ্যে ওয়ালটন টিভি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আয়ারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ রিটেইল স্টোর ‘ডিড ইলেকট্রিক্যাল’ এ প্রদর্শন ও বিক্রি করা হচ্ছে ওয়ালটনের অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভি। যা ইউরোপের বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেই শুধু নয়; বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ গ্লোবাল কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বিশাল মাইলফলক।
ইউরোপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ালটন গ্লোবাল বিজনেস ডিভিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান জানান, ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে উত্তর-পূর্ব ইউরোপের দেশ আয়ারল্যান্ডে ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগোতে টেলিভিশন রফতানি কার্যক্রম শুরু করা হয়। গত এপ্রিলে ওয়ালটনের ৩২, ৪৩ ও ৫৫ ইঞ্চি অ্যান্ড্রয়েড টিভির প্রথম শিপমেন্ট পাঠানো হয়। আয়ারল্যন্ডে ওয়ালটন টিভির পরিবেশক হিসেবে বাজারজাত কার্যক্রম পরিচালনা করছে দেশটির খ্যাতনামা কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স অ্যাপ্লায়েন্সে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘সোমার লিমিটেড’।
ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন বলেন, আয়ারল্যান্ডে টিভি রফতানি বাজার সম্প্রসারণ নিঃসন্দেহে ওয়ালটনের ভিশন ‘গো গ্লোবাল ২০৩০’ অর্জনের পথে এক বিশাল মাইলফলক। ভৌগোলিক দিক থেকে আয়ারল্যান্ড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক বাজার। দেশটির প্রতিবেশী হচ্ছে গ্রেট বিটেন। তাই আয়ারল্যান্ডে রফতানি কার্যক্রম শুরুর ফলে গ্রেট ব্রিটেনে ওয়ালটন টিভির ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তিনি জানান, বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ টেলিভিশন প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার মিশন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এই মিশন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ সালের মধ্যে পাঁচটি মহাদেশীয় অঞ্চলের সবগুলো দেশে ওয়ালটন টিভি রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাজ করছেন তারা। সূত্রমতে, ৩৫টিরও বেশি দেশে শতাধিক বিজনেস পার্টনারের মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত টিভি রফতানি করছে ওয়ালটন। ওয়ালটন টিভির মোট রফতানির প্রায় ৯৫ শতাংশই যাচ্ছে ইউরোপের উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে।