চকরিয়ায় হাইকোর্টের নির্দেশে জব্দ বালু নিলাম হলেও মানছে না বন বিভাগ
- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
কক্সবাজারের চকরিয়ায় হাইকোর্টের আদেশমূলে জব্দকৃত বালু প্রকাশ্যে নিলাম করে ১০ লাখ টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা করেও বিপাকে পড়েছেন চকরিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। বন বিভাগ জব্দ করা অবৈধ বালু তাদের দাবি করায় নিলামের পরও বালু সরাতে পারছেন না নিলামকারী সাইফুল ইসলাম পুতু। এ নিয়ে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও নিলামকারীর মধ্যে ত্রিমাত্রিক রশি টানাটানি চলছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চকরিয়ার ডুলাহাজারা পাগলীর বিল, ফাঁসিয়াখালী ছড়া ১ ও ২ বালু মহালকে গত ২৬ এপ্রিল অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রংমহল গ্রামের নিকটবর্তী জলাধার, টিলা, কৃষিজমি, খালি মৌজাগুলোতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক ও সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষার জন্য এ নির্দেশনা দেন উচ্চআদালত। এরপর গত জুলাই মাসে বন বিভাগ অভিযান চালিয়ে সরকারি লিজভুক্ত এসব বালু মহাল থেকে ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫৮৯ ঘনফুট বালু জব্দ করেন। এ ঘটনায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করে বন বিভাগ।গত ২১ সেপ্টেম্বর চকরিয়া ইউএনওর অফিস আদেশে বলা হয়, হাইকোর্টের আদেশ মূলে জব্দকৃত বালু প্রকাশ্যে নিলাম করে সর্বোচ্চ ডাককারী সাইফুল ইসলামকে ১০ লাখ টাকার রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমাপূর্বক জব্দকৃত বালু অপসারণের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ডাককারী সাইফুল ইসলাম বালু অপসারণ করতে গেলে বাধা দেয় বন বিভাগ। এ সময় বন বিভাগ ও ডাককারীর লোকজনের মধ্যে তুমুল বাগি¦তণ্ডা হয়।
এ ব্যাপারে চকরিয়া ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, হাইকোর্টের একটি নির্দেশনার আলোকে বালু নিলাম দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া জব্দকৃত বালু বন বিভাগের জায়গায় নয়। এ বিষয়ে বন বিভাগের সাথে কথা হয়েছে।
এ দিকে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, এখন যদি বালু সরিয়ে ফেলা হয় তাহলে আদালতকে জব্দ করা বালু কিভাবে দেখাব?
বালু নিলাম নেয়া সাইফুল ইসলাম জানান, বালু মহাল বন্ধ ঘোষণা করায় বালু জব্দ করেছিল। সে সময় আমার বিরুদ্ধে বন বিভাগ মিথ্যা মামলাও দায়ের করে। এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে ১০ লাখ টাকার রাজস্ব নিয়ে সর্বোচ্চ ডাককারী হিসেবে তাকে বালু দিয়েছেন ইউএনও। কিন্তু বন বিভাগ অতি বাড়াবাড়িতে হাইকোর্টের নির্দেশনা ও ইউএনওর আদেশ মানছেন না। আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগ দিয়েছেন। আমি এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে প্রতিকার চাইবো।