Naya Diganta

পোশাক হলো সভ্যতার বাহন : অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী

পোশাক

‘পোশাক সভ্যতার বাহন। প্রাচীন সভ্যতায়ও শালীন পোশাকের পরিচয় পাওয়া যায়। আর ইসলাম এই ব্যবস্থাকে আরো পরিশীলিত করেছে।’ বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের ইউমেন উইংয়ের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সাবিকুন্নাহার মুন্নী।

রাজধানী ঢাকায় নারী অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে ‘পোশাক সভ্যতার বাহন’ শীর্ষক বিশেষ আলোচনা সভা-২০২২-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাবিকুন্নাহার মুন্নী বলেন, পোশাক সভ্যতার বাহন। প্রাচীন সভ্যতায়ও শালীন পোশাকের পরিচয় পাওয়া যায়। আর ইসলাম এই ব্যবস্থাকে আরো পরিশীলিত করেছে। আল্লাহ তায়ালা পোশাক সম্পর্কে কালামে পাকে আদম সন্তানদের পোশাক সম্পর্কে বলেছেন। পোশাক শুধু মুসলিমদের জন্যই যে প্রয়োজন তা নয়, বরং প্রত্যেক মানুষেরই ব্যক্তিত্ব ও রুচিবোধের অত্যবশ্যকীয় অনুসঙ্গ। তাই পোশাক সম্পর্কে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

রোববার সকালে রাজধানীতে ভার্চুয়ালি এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের রেডিয়োলজি ও ইমেজিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং নারী অধিকার আন্দোলনের সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ও গণশিক্ষা বিভাগের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং নারী অধিকার আন্দোলনের সাংস্কৃতিক সম্পাদিকা নূরুন্নাহার নিরু।

শুরুতেই অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াত করেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকার অ্যানাস্থেসিয়া বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এবং নারী অধিকার আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. তাহেরা বেগম।

উদ্বোধনী বক্তব্য দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্লানিং কমিশনের সাবেক ডিভিশন চিফ ও নারী অধিকার আন্দোলনের সহ-সভানেত্রী মমতাজ মান্নান। আলোচনা সভায় পোশাক ও বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও নারী অধিকার আন্দোলনের সহ-সভানেত্রী প্রফেসর ডা. নাঈমা মোয়াজ্জেম এবং পোশাক ইসলামী দৃষ্টিকোণ শীর্ষক আলোচনা পেশ করেন ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সমাজসেবা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপিকা ও কো-অর্ডিনেটর এবং নারী অধিকার আন্দোলনের জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. শারমিন ইসলাম প্রমুখ।

সাবিকুন্নাহার মুন্নী আরো বলেন, পোশাক-পরিচ্ছদ মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম অনুষঙ্গ। দেহ সজ্জিত করা এবং সতর আবৃত করার প্রয়োজনীয় মাধ্যম। তা ছাড়া এটি ব্যক্তিত্ব প্রকাশেরও অনন্য উপকরণ। কালামে পাকে বলা হয়েছে, ‘হে মানবজাতি! আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দোষণীয় তা ঢাকার জন্য এবং তা সৌন্দর্যেরও উপকরণ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক সেটিই সর্বোত্তম। এসব আল্লাহর নির্দেশনাবলির অন্যতম, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে। (সূরা : আরাফ : ২৬) । তাই পোশাকের ক্ষেত্রে আমাদেরকে ইসলামী আদর্শের যথাযথ অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্যে প্রসেফর ডা. হাবিবা চৌধুরী সুইট বলেন, ‘পোশাকের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সতর আবৃত্ত করা। তাই শুধু নামেই পোশাক পড়লে চলবে না বরং এমন পোশাক পড়তে হবে যাতে পোশাকের হক যথাযথভাবে আদায় হয়। কারণ, পোশাকের মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে সম্ভ্রম আবৃত করা। তাই যে পোশাক এই উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ, তা শরিয়তের দৃষ্টিতে পোশাকই নয়।‘

শেষে শিশু শিল্পী জাইমা নূরের সমাপনী সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি