Naya Diganta

করোনায় ৪ জনের মৃত্যু নতুন আক্রান্ত ৩৫০

করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সাথে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫০ জন শনাক্ত হয়েছেন ভাইরাসটিতে। সারা দেশে দুই হাজার ৬৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে গত শুক্রবার থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত। নমুনা পরীক্ষার সাপেক্ষে ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ১৩.১২ শতাংশ।
তবে এপিডেমিওলজিস্টরা বলছেন, যতজন করোনা শনাক্ত হয়ে থাকে প্রকৃতপক্ষে এর চেয়ে আরো পাঁচগুণ বেশি আক্রান্ত রয়েছেন। এদের বেশির ভাগই নিজের অজান্তেই করোনার জীবাণু নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বুঝতে পারছেন না। কারণ কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার মধ্যে লক্ষ্মণ প্রকাশ পেতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লেগে যায়। ফলে তারা আক্রান্ত হয়েও নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়ান এবং জীবাণু ছড়িয়ে থাকেন যাদের সাথে মিশেন তাদের মধ্যে। সবচেয়ে ভালো প্রতিরোধ ব্যবস্থা হতো মানসম্পন্ন মাস্ক ব্যবহার করা। একটি ভালো মাস্ক করোনা যেমন প্রতিরোধ করতে পারে, তেমনি নিজের মধ্যে থাকা ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধেও মাস্ক উত্তম কাজ করে থাকে। ভালো হয় সার্জিকেল মাস্ক। কারণ এই মাস্কটি দামে যেমন সস্তা তেমনি এটা ব্যবহারে স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু ভাইরাস আটকাতে পারে এন-৯৫ মাস্ক কিন্তু এই মাস্কটির দাম বেশি।
গতকাল সকাল পর্যন্ত ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে চারজনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এদের মধ্যে সিলেট বিভাগে দুইজন এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগে একজন করে মৃত্যু হয়েছে।
সারা দেশে গতকাল ৩৫০ জন করোনা শনাক্ত হলেও ঢাকা মহানগরীতে শনাক্ত হয়েছে ২৯৯ জন।
ঢাকা মহানগরী সবসময় করোনার জন্য হটস্পট হিসেবে রয়েই গেছে। এখান থেকে স্থায়ীভাবে করোনা কমছে না।
সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে বেড়েছে। বৈশ্বিকভাবে করোনার সংক্রমণ কমলেও বাংলাদেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিএ.২ ও বিএ.৫ উপ-ধরনের স্পাইক প্রোটিনে কিছু পরিবর্তন আসায় সংক্রমণ এখানে বেড়েছে। সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারেও করোনার সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।