Naya Diganta

ওমর পাশা কাহিনী

ওমর পাশার কথা বলছি। তিনি ১৯ শতকের ওসমানীয় (তুর্কি) খ্যাতিমান জেনারেলদের একজন। জাতিগতভাবে তিনি ছিলেন সার্ব বা ক্রোট। প্রথম জীবনে খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন। পরে তিনি ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। তুর্কি মুসলমানদের নেতৃত্বে গড়া এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার বিশাল অঞ্চলে বিস্তৃত ওসমানীয় সাম্রাজ্যের মুসলমানদের সাধারণ অর্থে তুর্কি বলা হতো। সেই অর্থে তিনি তুর্কি। ওমর পাশার সাবেক নাম মিহাজলো লাটাস। ইসলাম গ্রহণের পর তার নাম হয় ওমর। পাশা তার উপাধি। ওসমানীয় সাম্রাজ্যে খ্যাতিমান সেনাপতিদের পাশা উপাধি দেয়া হতো, যার অর্থ জেনারেল বা ফিল্ড মার্শাল। তবে বেসামরিক বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও অনেক সময় এ উপাধি দেয়া হতো। ওমর পাশা ওসমানীয় সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারী আবদুল মজিদের খাস-লেখক (রাইটিং-মাস্টার) নিযুক্ত হন। ১৮৩৯ সালে তিনি কর্নেল হন। ১৮৪২ সালে তিনি লেবাননের সামরিক রাজ্যপাল (গভর্নর) নিযুক্ত হন। ১৮৪৩ সালে তিনি আলবেনিয়ায় বিদ্রোহ দমন করেন। কুর্দিস্তানের বিদ্রোহ দমন করেন ১৮৪৬ সালে এবং বসনিয়ার বিদ্রোহ দমন করেন ১৮৫০ সালে। ১৮৫৩-৫৪ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে তিনি সফলতা প্রদর্শন করেন। ১৮৪৮ সালে হাঙ্গেরি বিপ্লবের পরে মোলদাভিয়া ও ওয়ালাচিয়ায় তিনি তুর্কি বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। ক্রিমিয়ার যুদ্ধের সময় (১৮৫৩-১৮৫৬) সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিদ্রোহ দমন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফলতায় তিনি দারুণ খ্যাতি অর্জন করেন। পরে তিনি যুদ্ধমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওমর পাশার জন্ম ক্রোয়েশিয়ার জানিয়া গোরায়, ১৮০৬ সালে এবং মৃত্যু ইস্তাম্বুলে, ১৮৭১ সালে।