Naya Diganta

পশ্চিম গগণে চাঁদ ও রাষ্ট্র পরিচালনা

লেখক : সালাহউদ্দিন বাবর

স্রষ্টার বেঁধে দেয়া নিয়মে চান্দ্র মাসের প্রথম গোধূলীতে এক চিলতে চাঁদ পশ্চিম গগণে ক্ষণিকের জন্য উদয় হয়। দিনে দিনে তা পূর্ণতা লাভ করতে থাকে। এর ব্যত্যয় কোনো দিন হয়নি এবং বিশ্ব নিয়ন্ত্রকের পুনরাদেশ না আসা পর্যন্ত অনন্তকাল পর্যন্ত এর কোনো অন্যথা হবে না। একটি রাষ্ট্রের ব্যবস্থাটা অনেকটা সে রকমই। রাষ্ট্রকে প্রতিনিয়ত পূর্ণতার দিকে এগিয়ে যেতে হয়। এর অর্থ হলো, রাষ্ট্র তার লক্ষ্যপানে ছুটতে থাকবে। এ কথার মর্ম হচ্ছে, রাষ্ট্র তার নাগরিকদের চাহিদা-স্বাস্থ্য-সাচ্ছন্দ্য বিধানের জন্য সময়ের সাথে তাল লয় ঠিক রেখে নিরন্তর এগিয়ে যাবে। তাই যারা রাষ্ট্রের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত থাকবেন, তাদের অর্থপূর্ণভাবে সার্বক্ষণিকভাবে কর্তব্যকর্মে ব্যস্ত থাকা অনিবার্য। এভাবে যদি দায়িত্বশীলরা কাজ করে যান তবে দেখা যাবে, দিনে দিনে চন্দ্র যেমন পূর্ণতা পায়, তেমনি রাষ্ট্র তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের যে কোনরকম ঢিলেমি, সময়ক্ষেপণ, অযোগ্যতা ও পরিস্থিতি বুঝতে পারার ব্যর্থতা রাষ্ট্রকে শুধু পিছিয়েই নেবে। অর্থাৎ প্রশাসনকে দক্ষ লোকদের দিয়ে সাজানোই মূল কথা। কিন্তু এর অভাব এখন আমাদের দেশে প্রকট।

যেসব রাষ্ট্রের মানুষের শ্রী ও স্বস্তি বেড়ে চলেছে, যেখানে মানুষের সুখ, আনন্দ, সম্মান, নিরাপত্তা, অধিকার নিশ্চিত হয়ে উঠছে সেখানে জনগণ জীবনের অর্থ উপলব্ধি-উপভোগ করতে পারছেন।

আজ বিশ্ব একটা গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সেই গ্লোবাল ভিলেজেরই একটি অংশ আমাদের এই ভূখণ্ড। এই অংশে বসবাসকারী মানুষ এখন পাশের বাড়ির উঠানের দিকে তাকিয়ে আজ গভীর হতাশায় ঢলে পড়ছে। ও বাড়ির লোকদের সুখ আনন্দ ও নৃত্য গীত শুনে তারা মরমে মরে যায়। তাদের ভাগ্যের এমন বিরূপতায় নীলকণ্ঠ হয়ে আছে তারা। গত পঞ্চাশ বছরে যা পাওয়ার ছিল, তা কোন কারণে পাওয়া হলো না সেটাই তাদের আজকের জিজ্ঞাসা। তারা কেউ পেল না কিন্তু মুষ্ঠিমেয় কিছু ভাগ্যের বরপুত্র সব কিছুর শতভাগ বা তারও বেশি পেল কিভাবে, কোন প্রেম-প্রীতি, স্নেহ-শুভেচ্ছা আর অনুরাগের বিনিময়ে তারা সব পেল, কারা তাদের পাইয়ে দিল মানুষ আজ সেই প্রশ্ন তুলছে। কোন অপরাধে দেশের বেশির ভাগ মানুষ ন্যূনতম প্রাপ্য থেকেও বঞ্চিত হলো, বৈষম্যের শিকারে পরিণত হলো সেটাও অনিবার্য প্রশ্ন। অথচ জাতির বৃহত্তর অংশ এই বঞ্চিতরা কর খাজনা ঠিকই দিয়ে থাকে। অথচ কত আশ্বাস, মধুমাখা বাক্য বচন, ছেলে ভুলানো হাজারো রঙ ঢঙ্গে কথা বলা হয়। এসব ভনিতার উদ্দশ্য কী! বাকচাতুর্য্যে বারবার মানুষকে ফাঁকি দেয়া হয়। এসব নিয়ে উত্থিত প্রশ্নের প্রেক্ষিতে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু এসব জারিজুরির সব রহস্য ভেদের সব তথ্যের খোঁজখবর সবার কাছেই রয়েছে। ভাগ্যের বরপুত্ররা হাজারো অনিয়ম করে এখন দেশের বলয় ছাড়িয়ে বাইরের জগতেও অর্থবিত্তের যে পাহাড় তৈরি করেছে, সে সম্পর্কে কে না ওয়াকিবহাল!

অর্থপাচারসহ এমন সব বহু ব্যত্যয়, অব্যবস্থা, অনিয়ম এখন এই জনপদকে এমন এক পর্যায়ে নিয়ে গেছে যে সম্পর্কে জনগণ ঠিকই খোঁজ রাখে। সেসব অনিয়ম, প্রশাসনিক অদক্ষতা, জবাবদিহির অনুপস্থিতি, উদাসীনতা মানুষ লক্ষ্য করে যাচ্ছে। সেসব তুলে ধরা হচ্ছে বিভিন্ন সংবাদপত্রের নানা প্রতিবেদনে। সবারই জানা যে, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ। দর্পণের সামনে দাঁড়ালে যেমন মুখমণ্ডলের পুরো খুঁৎগুলো চোখে পড়ে- তেমনি আমাদের সংবাদপত্রে সমাজের প্রকৃত চিত্রটা অনেকাংশেই উঠে আসে। সেজন্য আমরা সংবাদপত্র থেকে সেসব তুলে ধরার চেষ্টা করেছি বক্ষ্যমাণ এই নিবন্ধে। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো উদ্ধৃত করার আর একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, কারো যেন এমন মনে করার কারণ না ঘটে যে, আমরা শুধুই অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করি। আমরা যেসব খবর চয়ন করেছি তার সবগুলো ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছে।

প্রথম আলোর প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল, ‘ঘেরাওয়ের পরদিন ৭ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন।’ প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, ‘নারায়ণগঞ্জে তিতাস গ্যাসের কার্যালয় ঘেরাওয়ের পর গতকাল মঙ্গলবার জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৭ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বৈদ্যের বাজার ইউনিয়নের চান্দের কীর্তি এলাকায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এই অভিযান চালায়। আবাসিকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে তিতাস গ্যাসের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয় ঘেরাও করেন বাসিন্দারা। এর পর দিনই সোনারগাঁয়ে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান চালায়।.... সোনারগাঁয়ে অনেকেই স্থানীয় রাজনীতিকদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। অবৈধ এসব সংযোগ নিতে ৩০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে বাসিন্দাদের। বৈদ্যের বাজার এলাকার বাসিন্দা মো: আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা বলেছিলেন, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সংযোগ নেওয়া হচ্ছে। কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর, তাদের আর এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।’

এখন প্রশ্ন হলো, এই রাজনৈতিক নেতা কারা, নিশ্চয়ই তাদের ক্ষমতা রয়েছে। ক্ষমতার বাইরের রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাদের কথা কে শুনবে? এমন অবৈধ কাজ করে, তথা রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করে এসব ব্যক্তি লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে পকেট ভরেছেন এমন নেতা তো দেশে বেশুমার, তারা কতভাবে যে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটপাট করছে, তার হিসাব কে দেবে? বেড়ায় যখন ক্ষেত খায়, তখন ফসল কে রক্ষা করবে?

দৈনিক নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনের শিরোনাম, বিনা টেন্ডারে কেনা হচ্ছে ১৬৫ কোটি টাকার মসুর ডাল।’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিনা টেন্ডারে ১৬৫ কোটি টাকার মসুর ডাল কেনা হবে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছ থেকে এই ডাল প্রতি কেজি ১১০ টাকা দরে কিনতে হবে।

বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) জন্য এই ডাল কিনছে। যাই হোক, ডাল সংগ্রহের জরুরত নিয়ে কোনো প্রশ্ন না-ই তুলি। কেননা, ন্যায্যমূল্যে কোথাও খাদ্য সামগ্রী তো পাওয়া যাচ্ছে না। তার ওপর সব পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। তাই টিসিবির ট্রাকে শুধু নিম্নবিত্তই না বিপুলসংখ্যক মধ্যবিত্ত শ্রেণীর নারী পুরুষ লাইনে দাঁড়াচ্ছে। এসব দেখে ১৯৭৪ সালের কথা মনে পড়ছে। আমাদের ডালের এমন প্রয়োজনের বিষয়টি আরো আগে কেন আঁচ করা গেল না? যদি এই চাহিদার কথা আগে ভাগে কর্তৃপক্ষ বুঝতো। তবে ডাল বিশ্ববাজার থেকে অনেক কম দরে আমদানি করা যেত। তাতে জনগণের অর্থের যেমন সাশ্রয় হতো, তেমনই জনগণ আরো কম দামে ডাল কিনতে পারত। এমন দূরদৃষ্টির অভাব সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। এগুলো প্রশাসনের অদক্ষতা, উদাসীনতার প্রকৃষ্ট প্রমাণ।

দৈনিক যুগান্তরের খবরের শিরোনাম, ‘কঠোর গোপনীয়তায় ইসি সভা, বাজার যাচাই না করেই ইভিএম ক্রয় প্রস্তাব।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বাজার দর যাচাই এবং যথাযথ সমীক্ষা ছাড়াই দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। এতে প্রতিটি মেশিনের প্রাথমিক দাম ধরা হয়েছে পৌনে তিন লাখ টাকা। আর প্রকল্পের সার্বিক দাম ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি।... জানা গেছে, কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে গত মঙ্গলবার ইসি সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়ালের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। ... প্রায় ১ ঘণ্টার সভায়, প্রচলিত নিয়ম ভেঙ্গে একাধিক যুগ্ম সচিবকে ডাকা হয়নি। ... ইভিএম প্রকল্প প্রস্তাবের বিষয়ে একাধিক কর্মকর্তা নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ডিপিপির যে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তা অপূর্ণাঙ্গ ও জোড়াতালির। তার বেশির ভাগই অনুমাননির্ভর।’ প্রশ্নটা হচ্ছে টাকাটা কি ‘গৌরী সেনের।’ এভাবে যেনতেনভাবে খরচ করা হবে।

যুগান্তরের নিয়মিত কলামিস্ট সাবেক সচিব বদিউল আলম অতি সম্প্রতি তার কলামে লেখেন, ইসির ‘সংলাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বেশির ভাগই ইভিএমএর বিপক্ষে বলেছে। বড় একটা দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল তো সংলাপে অংশগ্রহণ না করলেও ইভিএমএর বিরুদ্ধে সদা-সোচ্চার।

এমনি দলটি ইভিএম ব্যবহারকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট চুরির ‘ষড়যন্ত্র’ রূপে বিবেচনা করছে।... কিন্তু নির্বাচন কমিশনের অনূর্ধ্ব বা সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ইভিএমএ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তটা কী, বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী একটা ষড়যন্ত্রের অংশ? আগে আমরা ভোটের বাক্স লুটের খবর শুনতাম, জাল ভোটের কথা তো ছিলই, জবরদস্তি করে অন্যের ভোট দিয়ে ফেলার অভিযোগ ছিল।... সরকার যেখানে অনেক প্রকল্পে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে কাটছাঁট করছে, সেখানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার এ প্রকল্প একটা পাগলামি ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। এখনো জন-অনাস্থায় বিরাট বোঝা বহনকারী এই ইভিএমএর জন্য তড়িঘড়ি করে এত বিপুল অর্থ ব্যয়, তাও ডলারে, একটা গর্হিত কাজের সামিল মর্মে আমরা বিবেচনা করি।’ গত দুটো ইসি যেমন ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে পড়েছে। আওয়াল কমিশনেরও স্থান হবে সেখানেই।

দৈনিক কালের কণ্ঠের ‘বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশের দামের মিল নেই।’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বৈশ্বিক বাজারে ডাল, চিনি ও রডের দাম কমেছে। তবে তার প্রভাব দেশের বাজারে নেই। বরং দেশের বাজারে এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। এদিকে চাল গম/আটা ও সিমেন্টের দাম বাজারে যতটা বেড়েছে তার চেয়ে বেশি বেড়েছে দেশের বাজারে। তবে পিঁয়াজের দাম বিশ্ব বাজারের তুলনায় দেশের বাজারে কম বেড়েছে। গত ৩০ আগস্ট প্রকাশিত বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।’ যাই হোক, দেশের বাজারে যেসব পণ্য এখানেই উৎপন্ন হয়, তারও মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এর কারণ বাজার নিয়ন্ত্রণের কোনো ‘ম্যাকানিজম’ নেই প্রশাসনের। পণ্যমূল্য ওঠানামা হচ্ছে একান্তভাবে মজুদদার, ফড়িয়াদের খেয়ালখুশি মতো। প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথাই নেই, জনগণের কষ্ট-দুর্ভোগ তো তাদের চিন্তা চেতনায় কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করে না। তাদের মাথায় কেবল ক‚টরাজনীতি, প্রতিপক্ষকে কেমন করে ল্যাং মারা যায়। সারাক্ষণ কেবল প্রতিপক্ষকে ব্যঙ্গ বিদ্রূপ আর হামলা-মামলা করার চিন্তা। দৈনিক সমকালের এক রিপোর্টের শিরোনাম ‘কুয়েট ছাত্রকে ৫ ঘণ্টা পেটালো ছাত্রলীগ।’

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মোবাইল অ্যাপসে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সরকারবিরোধী বার্তা আদান-প্রদানের (চ্যাট) অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) এক শিক্ষার্থীকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা নির্মমভাবে পিটিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রাতেই ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে। আহত শিক্ষার্থীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাবা আওয়ামী লীগের নেতা বলে জানা গেছে।... কুয়েটে এর আগেও ছাত্রলীগ কর্মীরা এভাবে একাধিক শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে মেরেছে। এতে একজনের কিডনি, আরেকজনের চোখ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারবিরোধী পোস্টের কারণে ২০১৯ সালে অক্টোবরে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সব কিছু দেখে বুঝে বলতে ইচ্ছা করে, ‘সত্যি সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ’!

ndigantababar@gmail.com