Naya Diganta

ইবি থিয়েটারের পথনাটকে অবহেলিতদের কৃতিত্ব ও বঞ্চনার কথা

ইবি থিয়েটারের পথনাটকে অবহেলিতদের কৃতিত্ব ও বঞ্চনার কথা

হাঁটতে গিয়ে ধুলার অত্যাচারে অতিষ্ঠ রাজা হবুচন্দ্র। তাই মন্ত্রী গবুকে ডেকে পায়ে ধুলা না লাগার উপায় বের করতে আদেশ করলেন রাজা। রাজার আদেশে মন্ত্রী ও পন্ডিতরা সবাই অস্থির। ঝাড়ু দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার, কার্পেট দিয়ে রাস্তা ঢাকাসহ নানা কাজ করে দিশেহারা সবাই। পরিশেষে জুতা তৈরি করে সবাইকে রক্ষা করেন মুচি। তবে জুতা আবিষ্কারের কৃতিত্ব নেন রাজা নিজেই। এমন গল্পে পথনাটকের মাধ্যমে সমাজে অবহেলিত মানুষের কৃতিত্ব ও বঞ্চনার কথা ফুটিয়ে তুলেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বরে পথনাটক পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের নাট্যকর্মীরা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতা ‘জুতা আবিষ্কার’ অবলম্বনে নাটকটি পরিবেশন করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সহ-সভাপতি কৌশিক আহমেদের নির্দেশনায় নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন বদরুল আমিন পিয়াস (রাজা), আব্দুল মমিন নাহিদ (মন্ত্রী), তাজনিয়া লাবন্য (উজির), আদনান আলিম পাটোয়ারি (শাস্ত্রী), মাহির আল মুজাহিদ (মুচি), পারিজাত সুলতানা (ঝাড়ুদার), কুলসুম অক্তার (ঝাড়ুদার) এবং মোনালিসা মুনা (পুথি পাঠক)। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন- থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান আহমেদ, ইমরান নাজির ও শিহাব উদ্দিন।

বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটারের সভাপতি আব্দুল মমিন নাহিদ বলেন, ‘জুতা আবিষ্কার কবিতার মতো আমাদের সমাজেও অবহেলিত মানুষের অনেক অবদান রয়েছে। তবে তাদের এই কৃতিত্ব অনেক সময় চাপা পড়ে যায়। অবহেলিত মানুষের শ্রমের মূল্য প্রদানে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আমরা এই নাটক পরিবেশন করেছি।’