Naya Diganta

জামালগঞ্জে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর ২ জনের লাশ উদ্ধার

জামালগঞ্জে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর ২ জনের লাশ উদ্ধার

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের সুরমা নদীতে পাথর বহনকারী (বাল্কহেড) নৌকার সাথে বালি বহনকারী নৌকার সংঘর্ষে নৌকা ডুবে ৩ শ্রমিক নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর (সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা) দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

জামালগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লালপুর গ্রাম সংলগ্ন ও গোলকপুর সুরমা নদীর বাঁকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে নৌ দুর্ঘটনায় পর নিখোঁজ ছিলেন ৩ শ্রমিক। দুর্ঘটনার খবর শুনে আশপাশের গ্রামের লোকজন ও জামালগঞ্জ উপজেলার মন্নান ঘাট এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গভীর রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পায়নি।

পরে শুক্রবার সারা দিন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল দুর্ঘটনাকবলিত স্থান থেকে (সন্ধ্যা পর্যন্ত) দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলছিল বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জামালগঞ্জ থেকে মন্নান ঘাট এলাকার দিকে একটি বালিবোঝাই নৌকা বালি বিক্রির জন্য প্রতিদিনের মতো যাচ্ছিল। ঘটনার রাতে বালু নিয়ে যাওয়ার সময় গোলকপুর বাজার ও লালপুর গ্রাম সংলগ্ন নদীর বাঁকে পাথর বহনকারী বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষ হয় বালি বহনকারী নৌকার। এতে বালিবোঝাই নৌকাটি সুরমা নদীতে ডুবে যায়। নৌকায় থাকা ছয়জন শ্রমিকের মধ্যে তিনজন সাঁতার কেটে তীরে ওঠতে পারলেও অপর তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজরা হলেন, জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের সেরমস্তপুর গ্রামের মৃত রমজান মিয়ার ছেলে তুলাই মিয়া (৫০) কামাল মিয়ার ছেলে এনাম মিয়া (২৩) ও দিরাই উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া (২২)। বেঁচে যাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজন আহত হওয়ায় পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছেন বলে জানান স্থানীয়রা।

জামালগঞ্জ উপজেলার মন্নান ঘাট নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, রাতে বালিবোঝাই ও খালি নৌকার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বালিবোঝাই নৌকার তিনজন শ্রমিক সাঁতার কেটে তীরে ওঠতে পারলেও অপর তিনজন নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় বাল্কহেড নৌকার চারজন মাঝিকে আটক করে জামালগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নিয়ে নিখোঁজ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।