Naya Diganta

কিশোরগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থীকে গলা কেটে হত্যা

কিশোরগঞ্জ শহরে অনার্স পড়–য়া এক শিার্থীকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের পর গলা কেটে হত্যা করেছে তার চাচাতো ভাই। গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের উকিলপাড়া এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ডের পাশে একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায় নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আবিদ হাসান রাহাত (২২)। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের আউটপাড়া গ্রামের স্কুলশিক আনোয়ারুল হকের মেজো ছেলে। রাহাত জেলা শহরে থেকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করতেন।
অভিযুক্ত ঘাতক চাচাতো ভাইয়ের নাম মো: জোবায়ের হাসান। তিনি একই গ্রামের শহীদুল হক খন্দকারের ছেলে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উকিলপাড়া এলাকার বহুতল ভবনটির তিনতলায় সম্প্রতি ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন জোবায়ের হাসানের বোন আরিফা সুলতানা। ওই বাসায় আরিফার দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া শিশুপুত্র মোহতাসিন ফুয়াদকে নিয়মিত পড়াতে যেতেন রাহাত। অন্য দিনের মতো বুধবার সন্ধ্যায় রাহাত ছাত্র ফুয়াদকে পড়াতে গেলে বোন আরিফাকে তার কে তালাবদ্ধ করে রাহাতের ওপর ছুরি নিয়ে হামলে পড়ে জোবায়ের। এ সময় রাহাতের বুকে ও পিঠে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়। শেষে তার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে জোবায়ের পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আল আমিন হোসাইন, সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মাদ দাউদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি জব্দ করে। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশ কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ দিকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নিহতদের স্বজনরা ঘটনাস্থলে এসে হাজির হয়েছেন। পুলিশ জোবায়েরের বোন, নিহতের স্বজন ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য নিচ্ছেন। পুলিশের কয়েকটি টিম ঘাতক জোবায়ের হাসানকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল আমিন হোসাইন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘অভিযুক্তকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি। অভিযুক্তকে ধরতে পারলেই জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে।’