Naya Diganta

চাকরি কি ফেরত পাবেন সাবিনারা?

ঘরে ফিরছে সাফ চ্যাম্পিয়ন সাবিনা বাহিনী।

সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন সাবিনা খাতুনদের নিয়েই এখন চলছে মাতামাতি। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেরই অজানা এই সাবিনা, কৃষ্ণা, স্বপ্না, সানজিদারা তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চাকরিচ্যুত। কোনো কারণে যদি এরা বাফুফের ক্যাম্প থেকে এবং ক্লাব দল থেকেও বাদ পড়ে যান তাহলে পথে বসার যোগাড় হবে।

সাবিনা-কৃষ্ণারা মিলে জাতীয় দলের ৭ ফুটবলার এবং আরো ১৬ ফুটবলারসহ ২৩ জনের চাকরি ছিল বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনে (বিজেএমসি)। ২০১৯ সালের মার্চে ৩২৬ জন ক্রীড়াবিদের সাথে বিজেএমসি থেকে চাকরি চলে যায় সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহান স্বপ্না, সানজিদা খাতুন, মাসুরা পারভীন, গোলরক্ষক সাবিনা আক্তারসহ পুরো ফুটবল দলের। এরা সবাই বদলী শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতেন।

বিজেএমসির স্পোর্টস অফিসার আবদুল কুদ্দুস জানান, চাকরি যাওয়া সাইক্লিস্টসহ অন্য ডিসিপ্লিনের ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন বাহিনীতে চাকরি হলেও মহিলা ফুটবলারদের আর কোথাও চাকরি হয়নি। তারা এখন ক্লাবের ফুটবলার।

দু’জন কোচ এবং ২৩ জন ফুটবলারসহ ২৫ সদস্যের ফুটবল দল চাকরি করতেন বিজেএমসিতে। আবদুল কুদ্দুসের উদ্যোগেই ২০১০ সাল থেকে মহিলা ফুটবলারদের চাকরি হওয়া শুরু বিজেএমসিতে। এদের নিয়েই ২০১৬ সালের জাতীয় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিজেএমসি। কিন্তু পরবর্তী সময়ে বিজেএমসি কর্তৃপক্ষ বদলী এবং স্থায়ী সব খেলোয়াড়দেরই ছাঁটাই করে। এতেই চাকরি হারান জাতীয় দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সাফের ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে জোড়া গোল করা কৃষ্ণা রানী, গ্রুপ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে দুটি এবং সেমিতে ভুটানের বিপক্ষে প্রথম গোল করা সিরাত জাহান স্বপ্না, এবারের সাফের সব ম্যাচেই প্রথম একাদশে খেলা ডিফেন্ডার মাসুরা পারভীন ও রাইট উইংগার সানজিদা। ক্লাব ফুটবলে এরা সবাই বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়। এরা যে ফের বিজেএমসিতে চাকরি পাবেন সেই সম্ভাবনা আর নেই। কারণ জুট মিলগুলো এখন কার্যত উৎপাদনহীন অবস্থায় রয়েছে।

এখন এরা ক্লাব ফুটবল থেকে বাদ পড়লে বেকার হয়ে যাবেন। যেমন অনূর্ধ্ব-১৮ সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মৌসুমী জাতীয় দল থেকেই বাদ পড়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৬ দলের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার নাজমাও বাদ। এবারের লিগে ক্লাব না পেলে তাদের আর্থিক সংকট আরো প্রকট হবে। যেখানে চাকরি হতে পারতো শেষ অবলম্বন।