Naya Diganta

চড় মারায় ২ শিক্ষককে পেটাল ছাত্র

চড় মারায় দুই শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে এক ছাত্র। তারা এখন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লাকমা বাজার সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

আহত দুই শিক্ষক উপজেলার সীমান্তবর্তী টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মখলিছুর রহমান ও স্কুল শাখার বাংলা বিভাগের শিক্ষক মর্তুজা আলী।

টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ খায়রুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ক্লাস চলাকালীন সময়ে অসদাচরণের জন্য শাসন করায় হামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির ছাত্র পটিয়া গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে আল-ইদ্রিস ও তার সাথে থাকা আরো কয়েকজন। ওই সময় কাঠের লাঠির আঘাতে শিক্ষকদের হাত ও পা রক্তাক্ত হয়েছে। স্থানীয় টেকেরঘাট বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানায়, গত মঙ্গলবার বাংলা বিষয়ের ক্লাস চলাকালীন আল-ইদ্রিসের অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে একটি চড় মারেন শিক্ষক মখলিছুর রহমান। পরে এ ঘটনাটি প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র শিক্ষকরা মীমাংসা করে দেন। তবুও এর জেরে বুধবার রাতে স্থানীয় লাকমা বাজার থেকে কেনাকাটা করে নিজ বাসায় টেকেরঘাটে পায়ে হেঁটে ফেরার পথে মখলিছুর রহমানের ওপর হামলা করে আল-ইদ্রিস ও তার সঙ্গীরা। এ সময় আল-ইদ্রিসের হাতে থাকা কাঠের লাঠির একাধিক আঘাতে মখলিছুর রহমান আহত হন। তার সাথে থাকা সহকর্মী মর্তুজা আলী ছাত্রকে থামাতে গেলেও তিনিও হামলার শিকার হন।

আহত শিক্ষক মখলিছুর রহমান বলেন, এ ঘটনা আমাদের ধারণারও বাইরে ছিল। গত মঙ্গলবার ক্লাসের এ ঘটনার পর বিষয়টি সিনিয়র স্যার সমাধান করে দেন। এ ঘটনার জেরে ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের দ ‘জনেরই হাতে-পা ও শরীর রক্তাক্ত হয়েছে। আমি মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। এখনো পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।