Naya Diganta

কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করবে গাড়ি

কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করবে গাড়ি

নেদারল্যান্ডসের আইন্ডহোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকলোলজির শিক্ষর্থীরা অভিনব এক বিদ্যুৎচালিত গাড়ি বানিয়েছে। দেখতে বিএমডব্লিউ কুপ অথবা অন্য কোনো ব্র্যান্ডের তৈরি স্পোর্টসকারের মতো মনে হলেও গাড়িটি ‘কার্বনখেকো’।
গাড়িটির পুরো নাম ‘দ্য জিরো এমিশন মোবিলিটি কার’-এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে জেম। জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর গাড়িগুলো যখন জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে শঙ্কিতদের মাথাব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ, সেখানে ডাচ শিক্ষার্থীদের তৈরি গাড়িটির ভূমিকা একেবারেই উল্টো। যতটা তৈরি করে, তার চেয়ে বেশি কার্বন শোষণ করবে জেম।
দুই আসনের গাড়িটি চলে ক্লিনট্রন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে। আর গাড়ির বেশির ভাগ যন্ত্রাংশ নির্মাণ করা হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টারে, রিসাইকল করা প্লাস্টিক দিয়ে। গাড়িটির উৎপাদন থেকে শুরু করে জীবদ্দশার শেষ পর্যন্ত যতোটা কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ হওয়ার কথা, তার চেয়ে বেশি কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাস থেকে শুষে নেবে বল জানিয়েছেন আইন্ডহোভেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা।
আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ ফিল্টারের নকশাও করেছেন তারা। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পনা খুবই সোজাসাপ্টা; গাড়িটি চলমান অবস্থায় বাতাসের কার্বন ডাই-অক্সাইড ধরা পড়তে থাকবে বিশেষ ফিল্টারে। বাতাস থেকে কার্বন শুষে নেয়ার জন্য দুটি ফিল্টার আছে জেম-এ। গাড়িটি ২০ হাজার মাইল চালানো হলে ফিল্টারগুলো দুই কেজি পর্যন্ত কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নিতে পারবে বলে ধারণা করছেন আইন্ডহোভেনের শিক্ষার্থীরা। একটা সময়ে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির চার্জিং স্টেশনেই ফিল্টার খালি করার সুযোগ থাকবে- এমন ভবিষ্যতের কথাও ভাবছেন তারা। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জেম নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন এর নির্মাতারা। দেশটির পূর্ব উপকূল থেকে সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত বিভিন্ন যায়গায় গাড়িটি প্রদর্শন করছেন তারা।