Naya Diganta

চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফে শক্তিশালী গ্যারান্টি প্রয়োজন : আব্দুল্লাহিয়ান

চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তরফে শক্তিশালী গ্যারান্টি প্রয়োজন : আব্দুল্লাহিয়ান

চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শক্তিশালী গ্যারান্টি প্রয়োজন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, তার দেশ পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-এর খসড়া প্রস্তাব পর্যালোচনা করে দেখছে। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এর চেয়ে শক্তিশালী গ্যারান্টি প্রয়োজন বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

রাশিয়া সফররত আব্দুল্লাহিয়ান বুধবার মস্কোয় স্বাগতিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে সাক্ষাতের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমেরিকার পক্ষ থেকে পর্যালোচনা করা ইইউ-এর খসড়া প্রস্তাবটি হাতে পেয়েছি। আমার সহকর্মীরা যথাসম্ভব শিগগিরই এটি পর্যালোচনা করে দেখছেন।’

আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, এর আগে একবার যুক্তরাষ্ট্র অনায়াসে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে বলে এবার যাতে আবারো অতি সহজে একই কাজের পুনরাবৃত্তি করতে না পারে সেজন্য চুক্তিতে আরো শক্তিশালী বিষয়বস্তু ও গ্যারান্টি থাকতে হবে।

২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমা দেশগুলো ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। বিনিময়ে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা এনেছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে সমঝোতা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেন। এর ফলে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে ওয়াশিংটন এবং পরমাণু সমঝোতা মুখ থুবড়ে পড়ে।

সেই সমঝোতাকে আবার কার্যকর করে যুক্তরাষ্ট্রকে এটির অন্তর্ভুক্ত করতে গত বছরের এপ্রিল থেকে ভিয়েনায় পাশ্চাত্যের সাথে ইরানের আলোচনা চলছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকানদের টিকেটে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া, রিপাবলিকান দলের একাধিক নেতা ঘোষণা দিয়েছেন, বাইডেন প্রশাসন ইরানের সাথে পরমাণু সমঝোতা আবার কার্যকর করার চুক্তি করলে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসে তা বাতিল করে দেবে। এসব কারণে ইরান সম্ভাব্য চুক্তিতে এমন কিছু শক্তিশারী ধারা ও গ্যারান্টি অন্তর্ভুক্ত করতে চায় যাতে কোনো মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে এটি থেকে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব না হয় অথবা বের হয়ে গেলে যেন ইরানের স্বার্থ সংরক্ষিত থাকে।

সূত্র : পার্সটুডে