Naya Diganta

ইউক্রেন নিয়ে যা জানালেন জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান

ইউক্রেন নিয়ে যা জানালেন জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান

জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান বলেছেন, রাশিয়ার আক্রমণ থেকে পালিয়ে আসা লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে ইউরোপে সাগ্রহে গ্রহণ করা এটাই দেখায় যে, বিপুল সংখ্যক আশ্রয়প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানানো সম্ভব এবং অন্যান্য দেশ থেকে পালিয়ে আসাদের গ্রহণ করতেও এই পন্থাটি ব্যবহার করা উচিৎ।

দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে, জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, ফিলিপো গ্রন্ডি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিক্রিয়াটিকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন যে প্রায় ছয় মাস আগে যুদ্ধ আরম্ভ হওয়ার পর থেকে, মূলত নারী ও শিশুসহ প্রায় ৪০ লাখ ইউক্রেনীয় ইইউর অস্থায়ী সুরক্ষা ব্যবস্থাটিতে নিবন্ধন করেছেন।

এটি আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো থেকে শরণার্থীদের ইউরোপের উপকূলে পৌঁছানো রোধ করার, ইইউর সাম্প্রতিক বছরের প্রচেষ্টাগুলো থেকে একেবারে বিপরীত ঘটনা। কিছু কিছু ইউরোপীয় নেতা ইউক্রেনীয়দের দুর্দশাটিকে অন্যান্য শরণার্থীর দুর্দশা থেকে পৃথকভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। এমন পার্থক্যকে গ্রন্ডি ‘বর্ণবাদী’ বলে সেগুলোর প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন।

গ্রন্ডি প্রশ্ন তুলেন, এটি যদি এত বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য সম্ভব হয়, এবং যখন কিনা তা এতটাই কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে, তখন এই একই পন্থাটি অন্যান্য মানুষের জন্য কেন ব্যবহার করা হবে না, যারা কিনা ইউরোপের দরজায় কড়া নাড়ছেন?

এই ব্যবস্থাটি অনেক দশক আগে তৈরি করা হলেও, ইইউর জরুরি সুরক্ষা ব্যবস্থাটি ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই বছরই সক্রিয় করা হয়। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে ইউক্রেনের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ পালিয়ে আসলে তার প্রতিক্রিয়ায় এমনটা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আর কখনো ইউরোপ মহাদেশে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ বিতাড়িত হয়ে আশ্রয়প্রার্থী হয়নি। এই ব্যবস্থার অধীনে ইউক্রেনীয়রা ইইউ জুড়ে চলাচল করতে পারবেন। এছাড়াও এটি তাদেরকে কাজ করার অধিকার দেয় এবং তাদেরকে বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সুযোগ করে দেয়।

এমন ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রন্ডি বলেন, তিনি মনে করেন না যে ইউরোপের সরকারগুলোর নীতিগুলো বর্ণবাদী।

তবে তিনি আরো বলেন, আমি কিছু কিছু রাজনীতিবিদের কাছ থেকে এমন ঘোষণা শুনেছি যে, ইউক্রেনীয়রা প্রকৃত শরণার্থী…এবং বাকিরা প্রকৃত শরণার্থী না। এটি বর্ণবাদী।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা