Naya Diganta

জামিনে এসে হত্যার হুমকি শঙ্কিত ব্যবসায়ীর পরিবার

আদালতে সমঝোতার শর্তে মুচলেকা দিয়ে জামিনে এসে উল্টো বাদিকে নানা ধরনের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অথচ গ্রেফতার এড়াতে আদালতে গিয়ে চুক্তি অনুযায়ী বাদির সাথে সমঝোতা করবেন বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন কাকরাইলের প্রভাবশালী সাজেদুর রহমান ওরফে সাজু।
ভুক্তভোগী আলহাজ আবদুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, ১৯৯২ সালে রাজধানীর কাকরাইলের ২৮/এ হোল্ডিংয়ের নিচ তলায় ভবন মালিক সাজেদুর রহমান ওরফে সাজুর কাছ থেকে এক লাখ টাকার বিনিময়ে পজিশন ক্রয় করেন। সেখানে তিনি কর্ণফুলি মটরস নামে দোকানে ৩০ বছর ধরে বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল বিক্রির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। পরে ১৯৯৮ সালে পুনরায় আরো তিন লাখ টাকাসহ সর্বমোট চার লাখ টাকার বিনিময়ে দোকানের পজিশন ক্রয় করেন। যার চুক্তিনামা দলিল করে দেয়া হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে এসে সাজেদুর রহমান সাজু দোকানের জমিদারি ভাড়া নিতে অপারগতা প্রকাশ করে বিভিন্ন অন্যায় আবদার ও টাকা দাবি করতে থাকেন। এই অবস্থায় আদালতে মামলা করলে ২০২০ সালে করোনা সাজেদুর রহমান সাজু দোকানের কর্মচারীদের মারধর করে ২৬ লাখ টাকা মূল্যের ১৩টি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এ সময় পল্টন থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধার করে।
অন্য দিকে সাজুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। সাজু মামলার বাদি আব্দুল হালিমের সাথে সমঝোতার চুক্তি করে আদালতে মুচলেকা দিয়ে জামিনে আসেন। কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়ে সমঝোতার পরিবর্তে সাজু তার আত্মীয় প্রভাবশালী সরকারি এক কর্মকর্তার যোগসাজশে আব্দুল হালিম তার পরিবারের সদস্য এবং কর্মচারীদের হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে পল্টন থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে সাজুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের কাগজ, চুক্তিনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে তার কাছেও অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী আব্দুল হালিম। কিন্তু বিবাদি সাজেদুর রহমান সমঝোতায় বসতে চাইছেন না। এমতাবস্থায় আব্দুল হালিম নিজের, পরিবার ও কর্মচারীদের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেছেন। একই সাথে তার ক্রয়কৃত দোকান ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।