Naya Diganta

কালিনিনগ্রাদে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য রাষ্ট্র এবং ন্যাটোর সম্পদের আরো কাছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কালিনিনগ্রাদে এই ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
কৌশলগত অঞ্চল হিসেবে কালিনিনগ্রাদের গুরুত্ব অনেক বেশি। এই অঞ্চলে রাশিয়ার বাল্টিক বহরের সদর দফতর। তবে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে এর কোনো সীমানা নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালে জার্মানির কাছ থেকে কালিনিনগ্রাদ দখল করে নেয় রাশিয়া। এই অঞ্চলটির সাথে ইইউ এবং ন্যাটো সদস্য দেশ লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডের সীমান্ত রয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিনজাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী তিনটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান চকালভস্ক বিমান ঘাঁটিতে পৌঁছেছে। ‘কৌশলগত প্রতিরোধে বাড়তি পদক্ষেপ’ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানানো হয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান সার্বক্ষণিক যুদ্ধকালীন কর্তব্য পালনে প্রস্তুত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে ওই ঘাঁটিতে যুদ্ধ বিমান পৌঁছাতে দেখা গেলেও কোনো ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এসব ক্ষেপণাস্ত্র আলাদাভাবে পাঠানো হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান নিয়ে পশ্চিমের সাথে যখন রাশিয়ার উত্তেজনা বাড়ছে তখন কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হলো। রাশিয়া বরাবরই ইউক্রেনে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের সমালোচনা করে আসছে। মস্কোর দাবি যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা এই সঙ্ঘাতে উসকানি দিচ্ছে। ইউক্রেনে পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের বিপরীতে কালিনিনগ্রাদে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে রাশিয়া। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে নির্ভুল-নির্দেশিত ইস্কান্দার ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কিছু আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রুশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র দুই হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এ ছাড়া এর গতি শব্দের চেয়ে দশগুণ বেশি।