Naya Diganta

শেষটা পদকে হলো না বাংলাদেশের

শেষটা পদকে হলো না বাংলাদেশের

সকাল থেকেই প্রবল বাতাস সারাসলু আরচারি গ্রাউন্ডে। বিশ্বের সব স্থানেই আরচারি হয় সারাসুলর মতো খোলা জায়গায়। যেখানে বাতাসের আধিক্য থাকে। তবে বাংলাদেশের আরচারদের জন্য অন্যতম প্রতিবন্ধক এই বাতাস। আজ ৫ম ইসলামী সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশের শেষটা পদকে হলো না এই বাতাসের কারণেই।

কম্পাউন্ড মহিলা এককের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে প্রবল বাতাসের কাছে প্রথম রাউন্ডেই হার মানেন বাংলাদেশের রোখসানা আক্তার। তিন তীরে তার স্কোর ৩০-এর বদলে ওঠে ৮, ৯ ও ৭। অন্য দিকে তুরস্কের সুজার আয়েসে রেবা মারেন ৯, ৯ ও ৯। ফলে ২৪-২৭-এ পিছিয়ে পড়া। এরপর বাকি রাউন্ডে রোখসানা এবং আয়েসে রেবার স্কোর সমান সমান।

কিন্তু ওই যে ৩ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়া প্রথম রাউন্ডে তাতেই ব্রোঞ্জ পদক জেতা হলো না বাংলাদেশের। ১৩৩-১৩৬ পয়েন্টে হেরে যান রোখসানা। ফলে এই আসরে চতুর্থ পদক জেতা হলো না লাল সবুজদের।

এছাড়া কারাতেতেও আসেনি সুসংবাদ। ৬১ কেজিতে এস এ গেমসে স্বর্ণজয়ী বাংলাদেশের হুমায়য়ারা আক্তার অন্তরা ১-২ পয়েন্টে হেরে যান মরক্কোর কারাতেকার কাছে। অথচ এই রাউন্ডে জিতলে বাংলাদেশের পদক নিশ্চিত ছিল। কারণ দ্বিতীয় রাউন্ডে অন্তরা পেতেন ক্যামেরুনের প্রতিপক্ষকে। যারা একেবারেই দুর্বল। কারাতে দলের ম্যানেজার ইকবাল হোসেন এসব জানান।

আগের রাতে কোনিয়া প্রবাসী বাংলাদেশী জুবায়েরের বাসায় নৈশভোজে অন্য আরচাররা গেলেও যাননি রোখসানা। তার ব্রোঞ্জ পদকের ম্যাচ যে সকাল ৯টায়। তাই তাকে রেখে যাওয়া গেমস ভিলেজে। সকালে তাকে উৎসাহ দিতে রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকী, সাগর, শ্যামলী রায়, বিউটি রায়রা আরচারি গ্রাউন্ডে উপস্থিত। তবে বাজে শুরুর জেরই টানতে হলো কম্পাউন্ড মহিলা দলগততে ব্রোঞ্জ জেতা রোখসানাকে। এই গেমসে জিততে পারেননি নিজের দ্বিতীয় পদক।

দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম রাউন্ডে রোখসানা ও আয়েসে রেবার স্কোর ছিল ২৮, ২৭, ২৫ ও ২৯। বাংলাদেশের এই অভিজ্ঞ আরচার যদি এই চার রাউন্ডের দুটিতে এগিয়ে যেতে পারতেন তাহলে ব্রোঞ্জ বাংলাদেশই পেত।

উল্লেখ্য এই আরচারীতেই বাংলাদেশ একটি রৌপ্য ও দুটি ব্রোঞ্জ জিতেছে কোনিয়া সলিডারিটি গেমসে।

কারাতেতে হুমায়ারা আক্তার অন্তরা হারলেও তার প্রতি অবিচারের অভিযোগ করেন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন। অন্তরা পয়েন্ট পেলেও তা দেয়া হয়নি। কাজ হয়নি আপিলেও। পরশু দেশে ফিরছে আরচার দল।