Naya Diganta

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ : আশ্বাসে বিশ্বাস হারাচ্ছে দেওয়ানগঞ্জবাসী

একটি অনুকরণযোগ্য বাঁধের নমুনা

দেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জামালপুরের সর্ব উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বন্যা ও নদী ভাঙ্গনপ্রবণ এলাকা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি নদী ভাঙ্গনরোধ। কিন্তু বন্যা ও নদী ভাঙ্গন রোধক একটি বাঁধ এখনো নির্মিত হয়নি। না। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে বিশ্বাস হারাচ্ছে এলাকাবাসী।

এক সময় দেওয়ানগঞ্জ সদর থেকে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর দূরত্ব ছিল মাইলের পর মাইল। বিশেষ করে পশ্চিমের দূরত্ব ছিল ১৪-১৫ কি. মি.। ভাঙ্গনের পর এখন সেসব নদী উপজেলা সদরের অতি কাছাকাছি। উপজেলা পরিষদ থেকে পশ্চিমে নদীর দূরত্ব বর্তমানে মাত্র এক-দেড় কি. মি.। পৌরসভার সীমানা ঘেষে এসব নদী প্রবাহতি হচ্ছে।

৭০-৮০-এর দশকে বন্যা ও নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কল্পে নির্মাণ করা হয়েছিল ১৫-২০ কি. মি. জুড়ে হরিনধরা বাঁধ। নদীভাঙ্গা, বানভাসি ও ভূমিহীন মানুষের ওই বাঁধে আশ্রয়গ্রহণ ও বসবাসে পরবর্তীকালে জায়গায়-জায়গায় ভেঙে যায় বাঁধ। পরে নদীর ভাঙ্গনে সব বিলীন হয়ে যায়। শিগগিরই পূর্ব দিকে চলে আসে নদী। মরার ওপর খড়ার ঘা’র মতো অবস্থা এখন। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বন্যার শুরুতেই পানি ঢুকে পড়ে সদরে। নিমজ্জিত হয় উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, রেলস্টেশন, চিনি কল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাঠ-ঘাট ও জনপ। দুঃখের শেষ থাকে না মানুষের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে আরো ওপরে অনেক বলা-বলি, লেখা-লেখি আবেদনেও এখনো একটি বাঁধ নির্মাণে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ হয়নি। তাই এখন আর কারো আশ্বাসে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারছে না এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন, খোরশেদ আলম, মেহেদী হাসান, সীমা মারমা ও হিসাবরক্ষক মামুন নয়া দিগন্তকে জানান, বন্যা ও নদীভাঙ্গন এ উপজেলাবাসীর বহু দিনের দুঃখ। প্রতি বছর তাদের দুঃখের কোনো শেষ থাকে না। এবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ নির্মাণ বিষয়ে সার্ভে ও ডিজাইন করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। ওই অনুমোদন পাওয়া গেলেই দেওয়ানগঞ্জ শহর রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এ বছরই শুরু করা হতে পারে।