Naya Diganta

রাশিয়ার সাথে সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে চীন

২০১৮ সালে রাশিয়ায় এক যৌথ সামরিক মহড়ায় চীনা সৈন্যরা।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, রাশিয়ায় এক যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে তারা সে দেশে সৈন্য পাঠাবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর দিয়েছে।

অন্যান্য দেশের সাথে এই মহড়ায় শরীক হবে ভারত। পূর্ব লাদাখে চীনের সাথে সীমান্ত উত্তেজনার মাঝে ভারতীয় সামরিক বাহিনী এতে যোগ দিচ্ছে।

তবে চীন বলছে, এই যৌথ মহড়ায় চীনের অংশগ্রহণের সাথে ‘বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির’ সম্পর্ক নেই।

রাশিয়া গত মাসে ঘোষণা দিয়েছিল, ৩০ অগাস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘ভোস্টক (পূর্ব)’ নামে একটি সামরিক অনুশীলন চালাবে। তবে কোন কোন বিদেশী বাহিনী এতে অংশ নেবে সে সময় তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার সাথে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তির অংশ হিসেবে চীনা সৈন্যরা এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নেতৃত্বে বেইজিং ও মস্কোর সরকারের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।

এক বছর আগে ঠিক এই মাসেই উত্তর-মধ্য চীনে ১০ হাজারের বেশি রুশ ও চীনা সৈন্যরা যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে।

গত অক্টোবরে রাশিয়া ও চীন, জাপান সাগরে একটি যৌথ নৌ মহড়া করে। এর কয়েক দিন পর রুশ ও চীনা যুদ্ধজাহাজ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে তাদের প্রথম যৌথ টহল চালায়।

ওদিকে, ভারতের সংবাদপত্র হিন্দুস্তান টাইমস খবর দিয়েছে, দিল্লিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সামরিক মহড়া নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না করলেও, এই বিষয়টির সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা বলছেন, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যুতে সহযোগিতার বহুপক্ষীয় প্রতিশ্রুতি মেনে উভয় দেশ অতীতে এই জাতীয় মহড়ায় সৈন্য পাঠিয়েছে।

এই খবরের বিষয়ে ভারতের সাবেক নর্দার্ন আর্মি কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা বলেছেন, ‘লাদাখে অচলাবস্থার পটভূমিতে এই বহুজাতিক মহড়ায় ভারত ও চীনের অংশ নেয়াকে আমি খুব বেশি গুরুত্ব দিই না।’

‘এটা আরো তাৎপর্যপূর্ণ হতো যদি ভারত-চীন দ্বিপক্ষীয় ‘হ্যান্ড-ইন-হ্যান্ড’ অনুশীলন আবার শুরু করতো, যার সম্ভাবনা এমুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না।’

সূত্র : বিবিসি