Naya Diganta

জীবননগরে মরা গরুর মাংস বিক্রিকালে আবারো কসাই আটক

জীবননগরে মরা গরুর মাংস বিক্রিকালে আবারো কসাই আটক

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর শহরে চারদিনের ব্যবধানে আবারো মরা গরু জবাই করে প্রকাশ্যে মাংস বিক্রি করার সময় এবার হাতেনাতে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত কসাই আরজ আলীকে (৩৫)।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাকে আটক করে জীবননগর পৌর কর্তৃপক্ষ। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এদিকে অভিযুক্ত কসাইকে কোন শাস্তি প্রদান না করে শুধুমাত্র মুচলেকায় ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় এলাকার ভুক্তভোগীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জীবননগর বাজারের প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, জীবননগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন খোলা স্থানে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর বাজারের কসাই আরজ আলী গরুর মাংস বিক্রি করছিলেন। কিছুক্ষণ পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি বাড়ি থেকে মরা গরু জবাই করে মাংস এনে বিক্রি করছেন। এ খবর পেয়ে পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর অজয় কুমার ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনার সত্যতা পেয়ে মাংস জব্দ করে পৌর চত্বরে নিয়ে তা পরে মাটিতে পুতে ধ্বংস করেন। তবে কসাই আরজ আলীকে কোনো শাস্তি না দিয়ে মুচলেকায় ছেড়ে দেন।

এ ব্যাপারে জীবননগর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, জরিমানা কিংবা অন্য শাস্তি দেয়ার কোনো বিধান না থাকায় আমরা অভিযুক্ত কসাইকে কোনো শাস্তি দিতে পারিনি। তবে তিনি আর কখনো এমন কাজ করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন। এছাড়া বাজারের সকল কসাইকে ডেকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

উল্লেখ, গত শনিবার জীবননগর বাজারের কসাই জিন্নাত আলী তার বাড়িতে মরা গরু জবাই করে তার মাংস বাজারে বিক্রিকালে কসাই কাদের ও আক্তারকে আটক করা হয়। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ একইভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়।

ভোক্তা সাধারণের অভিযোগ, অভিযুক্ত কসাইরা বার বার রহস্যজনক কারণে ছাড় পেয়ে যাওয়ায় মরা কিংবা অসুস্থ পশু জবাই ও তার মাংস বিক্রির প্রবণতা থামছে না।