Naya Diganta

নড়াইলে হাতুড়িপেটায় হত্যা : আসামিদের বাড়িঘর ভাঙচুর

নড়াইলে প্রতিপক্ষের হাতুড়িপেটায় গুরুতর আহত কিশোর জুয়েল ভূঁইয়া (১৬) মারা গেছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। জুয়েল নড়াইল সদর উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার ছেলে।
জুয়েলের চাচাতো ভাই আল আমিন জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন গত ৯ আগস্ট সকালে ভ্যানে জুয়েল স্থানীয় মাদরাসা বাজারে যাওয়ার পথে বেতভিটা এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষের ইয়াসিন, ফিরোজসহ অন্তত ছয়জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। জুয়েলকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তার মুত্যু হয়। জুয়েল মাদরাসা বাজারে সবজি দোকানের কর্মচারী ছিল। তার বাবা পান্নু ভূঁইয়া গরিব কৃষক।
এ দিকে জুয়েলের মৃত্যুর পর আসামিপক্ষের ২০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি (চলতি দায়িত্ব) মাহমুদুর রহমান জানান, জুয়েলের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুদ্ধরা কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটায় এবং সরকারি কাজে বাধা দেয়ায় ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জুয়েলের ওপর হামলার ঘটনায় তার চাচা বাদি হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আর জুয়েলকে মারধরের মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন জামিনে এবং একজন কারাগারে আছেন।