Naya Diganta

উত্তর কোরিয়ার সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর অঙ্গীকার পুতিনের

১৫ এপ্রিল ২০১৯ ভøাদিভস্তকে বৈঠকের আগে পুতিন-কিম করমর্দন হ এএফপি (ফাইল ছবি)

উত্তর কোরিয়ার সাথে ‘ব্যাপক ও গঠনমূলক’ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারিত করার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। গতকাল সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এ কথা বলেছেন। পিয়ংইয়ংয়ের ‘মুক্তি দিবস’-এ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে পাঠানো এক চিঠিতে পুতিন বলেছেন, এ পদক্ষেপ উভয় দেশের স্বার্থের অনুকূল।
অন্য দিকে কিম জং উন বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের বিরুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। তাদের ‘সহযোদ্ধাসুলভ বন্ধুত্ব’ আরো শক্তিশালী হবে। কিমের বিবৃতিতে বলা হয়, শত্রু শক্তির সামরিক হুমকি এবং উসকানিকে ব্যর্থ করার জন্য দুই দেশের মধ্যে ‘কৌশলগত সহযোগিতা, সমর্থন এবং সংহতি’ এক নতুন উচ্চপর্যায়ে উন্নীত করা হয়েছে।
পিয়ংইয়ং ‘শত্রু শক্তি’র নাম দ্বারা চিহ্নিত করেনি, তবে এই শব্দটি তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের উল্লেখ করতে বরাবর ব্যবহার করে থাকে। রাশিয়ার পূর্বসূরি সোভিয়েত ইউনিয়ন একসময় উত্তর কোরিয়ার এক প্রধান মিত্র ছিল। সোভিয়েত আমলে দেশটি বিপুল অর্থনৈতিক সহযোগিতা পাওয়ার পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক বিনিময় হতো। কিন্তু স্নায়ুযুদ্ধের পতনের পর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে পাশ্চাত্য মহল থেকে রাশিয়া আবার অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পরে ধীরে ধীরে দু’দেশের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে উত্তর কোরিয়া গুটিকয়েক দেশের মধ্যে একটি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব ইউক্রেনের দুই রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে রাশিয়া তাদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করে ডিক্রি জারি করেছিল। এর জবাবে ইউক্রেন পিয়ংইয়ংয়ের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।