আমরা দোহা চুক্তি লঙ্ঘন করিনি : আনাস হাক্কানি
- ১৬ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
ক্ষমতা দখলের এক বছরপূর্তিতে আফগানিস্তানের বাস্তব চিত্র এবং তাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে আলজাজিরার সাথে কথা বলেছেন তালেবানের শীর্ষ এক নেতা আনাস হাক্কানি। এক বছরে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সাফল্য, ব্যর্থতা এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
হাক্কানি বলেন, দোহা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে আমরা সব বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করে আসছি। আমরা এই বিষয়ে যেকোনো অভিযোগ খণ্ডন করতে প্রস্তুত। ইসলামিক আমিরাত [তালেবান সরকার] তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে যে বিবৃতি দিয়েছে, তা খুবই স্পষ্ট ছিল : ‘আমরা দোহা চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অনুমতি ছাড়াই আমাদের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন। বিশ্বের চোখে তালেবানের ইমেজ নষ্ট করার লক্ষ্যে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা চালানো হচ্ছে। আমরা এই মিথ্যা দাবি প্রত্যাখ্যান করি এবং আমি আবারও বলছি, দোহা চুক্তির অধীনে আমরা আমাদের কোনো বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করিনি। আমরা দেখতে চাই অন্য পক্ষ তাদের সম্মান রেখেছে এবং তাদের দায়িত্ব পালন করছে।
আনাস হাক্কানির কাছে প্রশ্ন ছিল, আপনার সরকার এক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছে, আপনাদের অর্জন আর ব্যর্থতাগুলো কী কী? আনাস হাক্কানি বলেছেন, গত এক বছরে, আমরা অনেক ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য কাজ করেছি। বিদেশীদের হাত থেকে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার পাশাপাশি, বিদেশীদের হস্তক্ষেপ, অন্যায় ও নিপীড়ন থেকে দেশকে মুক্ত করেছি। দখলের অধীনে থাকা যেকোনো মানুষ বা দেশ এটাই চায়। এটা আমাদের জন্য গর্বের উৎস, আশীর্বাদও বটে। আপনি বাইরে থেকেছেন এবং আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আমাদের দেশ বিশাল পরিবর্তনের দিকে এগোচ্ছে। ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম একটি কেন্দ্রীয় সরকার গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। দেশের প্রতিটি কোনায়, ইঞ্চি-ইঞ্চি তালিকা করার জন্য আরো অনেক কিছু করার বাকি আছে। তবে এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে বাধ্যতামূলক শুল্ক যেগুলো আগে মানুষের ওপর আরোপ করা হতো তা এখন আর নেই। দেশে আর কোনো বিশেষ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী কাজ করছে না। কেন্দ্রীয় সরকার, কোনো শুল্ক বা বিদেশী সাহায্য ছাড়াই, সব প্রতিষ্ঠানের সরকারি কর্মচারীদের বেতন দিতে সক্ষমতা অর্জন করেছে।