সময় টিভিতে ‘মিথ্যা-বানোয়াট’ প্রতিবেদন প্রচার : ছাত্রশিবিরের তীব্র প্রতিবাদ
- ১৫ আগস্ট ২০২২, ১৯:০০
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভিতে ‘আসলেই কি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ?’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল রাজিবুর রহমান বলেন, আদালত স্বীকৃত খুনি ছাত্রলীগের পক্ষে দায়িত্বহীন সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়ে অপপ্রচারে মেতেছে দলকানা হিসেবে খ্যাত সময় টিভি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বুয়েটে গোপনে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্রশিবির, বুয়েট ছাত্র দ্বীপ হত্যার তীর ছাত্রশিবিরের দিকে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করে ছাত্রশিবির সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়েছে এমন সামান্যতম তথ্য প্রমাণও নেই প্রতিবেদনে। বরঞ্চ সাধারণ ছাত্রদের যে কোন ন্যায্য দাবির প্রতি ছাত্রশিবির বরাবরই শ্রদ্ধাশীল।
অন্যদিকে বুয়েট ছাত্র দ্বীপের উপর হামলায় অভিযুক্ত মেজবাহ উদ্দিন ছিলো অন্য আরেকটি সংগঠনের কর্মী যা সে নিজে, ডিবি পুলিশ ও গণমাধ্যমগুলো উল্লেখ করেছে। এ ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোন সম্পর্ক নেই।
মূলত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং বুয়েটে ছাত্রলীগের হত্যা, নির্যাতন, নৃশংসতা ও সন্ত্রাসের পথকে আবারো উন্মুক্ত করতে সুকৌশলে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে কুৎসা রটনা করেছে সময় টিভি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বুয়েট প্রশাসন গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন, কর্মসূচি পালনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন লঙ্ঘন করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। সুতরাং শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি যৌক্তিক। কিন্তু সময় টিভি সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের ভাষায় প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছে। ফলে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা তাদের জান-মাল নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছে।
সুতরাং আবারো কোনো শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নৃশংসতার শিকার হলে এর দায়ভার সময় টিভির মত দলকানা গণমাধ্যম এড়াতে পারবে না।
শিবির নেতৃদ্বয় বলেন, যখনই কোনো আওয়ামী অপকর্ম দেশবাসীর কাছে প্রকাশ পায় তখনই সময় টিভির মত দায়িত্বহীন দলকানা গণমাধ্যমগুলো সে অপকর্মকে আড়াল করতে উঠে পড়ে লেগে যায়। এমন দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই সুস্থ সাংবাদিকতার পরিচায়ক নয়। একটি অন্যায় কাজকে আড়াল করা মানে আরেকটি অন্যায়কে উৎসাহিত করা। দুর্ভাগ্যবশত সময় টিভির মত কিছু গণমাধ্যমের এমন দায়িত্বহীন সাংবাদিকতা দেখতে হচ্ছে জাতিকে। যা কোনভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রত্যাহার, যথাসময়ে আমাদের প্রতিবাদটি প্রচার এবং এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক ও গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি