Naya Diganta

শিবগঞ্জে একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগ

শিবগঞ্জে একটি সেতুর অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে গ্রামবাসী : নয়া দিগন্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ওমরপুর ঘাটটি ব্রিটিশ আমল থেকে সুপরিচিত হলেও অদ্যাবধি এ ঘাটের কোনো উন্নয়ন হয়নি। পাগলা নদীর এ ঘাট দিয়ে ১২ গ্রামের প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। আর পারাপারের একমাত্র উপায় বাঁশের সেতু।
জানা গেছে, ওমরপুর ঘাটের এপারে-ওপারে রয়েছে হাজী মমতাজ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ও ভবানীপুর ফাজিল মাদরাসাসহ প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস, পোস্ট অফিস ও দেশের বৃহত্তম আম বাজার কানসাট। ঘাটের দুই পাশে সংযোগ সড়ক থাকলেও ঘাটে কোনো সেতু নেই।
সরেজমিন ওমরপুর ঘাটে গেলে স্থানীয় লোকরা জানান, নির্বাচনের সময় স্থানীয় নেতারা এখানে সেতু নির্মাণের বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও স্বাধীনতার ৫২ বছরেও কোনো সেতু পায়নি এখানকার মানুষ।
সাইকেল নিয়ে সাঁকো পারাপারের সময় ভবানীপুর গ্রামের বাদল, হাদিনগর গ্রামের হুমায়ুন আলিসহ কয়েকজন জানান, জীবনের তাগিদে চার-পাঁচ মণ আমের সাইকেলে নিয়ে এ সাঁকোতে উঠি। উপর দিয়ে যাতায়াত যে কত কষ্টকর তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শামীমসহ ১০-১২ জন শিক্ষার্থী জানান, বিশেষ করে বন্যার সময় পারাপারের একমাত্র উপায় নৌকা হওয়ায় বিদ্যালয়ে যেতে নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
শ্যামপুর ইউনিয়নের কয়লার দিয়াড় গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ মাস্টার, মুক্তিযোদ্ধা সাইদুল ইসলাম সেন্টু, হাজী মমতার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফারুর হোসেন, খোঁজপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার, ভবানীপুর গ্রামের তোহরুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, স্বাধীনতার ৫২ বছরেও ব্রিটিশ আমলের এ ঘাটটিতে কোনো সেতু হলো না।
শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ওমরপুর ঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সেতু দিয়ে শ্যামপুর, বিনোদপুর ও কানসাট ইউনিয়নের ১২ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এপারে-ওপারে অনেকের জমি ও আমবাগান থাকায় ফসল ও আম নিয়ে যেতে কৃষকদের খুব কষ্ট হয়। সেতুটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় এমপিসহ প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এমপি ডা: সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে উপজেলার মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। একনেকে আবেদন করা হয়েছে। একনেকে পাশ হলেই ওমরপুর ঘাটে সেতু নির্মাণ করা হবে।