আমন চাষে মিরসরাইয়ের কৃষকদের বাড়তি গুনতে হবে ১২ কোটি টাকা
- ১৩ আগস্ট ২০২২, ০০:০০
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় এবার ২০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের ল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে এখনো বেশির ভাগ জমিতে আমনের রোপা লাগানো সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন এলাকায় সেচের মাধ্যমে কৃষকরা জমিতে রোপা আমন লাগাচ্ছেন। জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাই এবার অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। পাশাপাশি বেড়েছে ইউরিয়া সারের মূল্য। এমতাবস্থায় কৃষি পণ্য উৎপাদনে কৃষকদের বাড়তি টাকা গুনতে হবে।
বর্তমানে আমন ধান রোপণের মৌসুম চলছে। এই ধানের চারা বৃষ্টির পানিতে রোপণ করা হলেও এখন বৃষ্টি না থাকায় অনেক কৃষক জমিতে সেচ দিয়ে রোপণ করছেন। কিন্তু ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক হেক্টর জমিতে (সাড়ে ৭ বিঘা) পানি সেচ দিতে ১০ লিটার ডিজেলের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা হয়েছে। এতে ১০ লিটার ডিজেল কিনতে হচ্ছে আগের চেয়ে ৩৪০ টাকা বেশি দামে। সেচ পাম্প ভাড়া নিতে প্রতি ঘণ্টার জন্য আগে দিতে হতো ১৫০ টাকা, আর এখন দিতে হয় ২০০ টাকা। সার, ডিজেল, সেচ খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষিতে এবার লোকসানের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
গত ১ আগস্ট থেকে প্রতি কেজি ইউরিয়া সারের দাম ৬ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এক হেক্টর জমিতে প্রয়োজন হয় ৩৫ কেজি সার। এতে প্রতি হেক্টরে একজন কৃষককে আগের চেয়ে ৫৫০ টাকা বেশি খরচ করতে হবে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে এবার উপজেলাজুড়ে ২০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের ল্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যদি সময় মতো এবং আশানুরূপ বৃষ্টি না হয় তাহলে ইউরিয়া সার এবং ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে এ উপজেলার কৃষকদের অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
মিরসরাই উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম জানান, উপজেলায় ২০ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হওয়ার কথা। বর্তমানে বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপণ করছে। তাই এবার ডিজেল ও ইউরিয়া সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় আমন রোপণে কৃষকের অতিরিক্ত প্রায় ১২ কোটি টাকা বেশি খরচ হবে। এবার কৃষক যদি ধানের সঠিক দাম না পান তাহলে বড় ধরনের তির সম্মুখীন হবেন তারা।