Naya Diganta

রাজশাহীতে বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন-মুরগির দাম

রাজশাহীতে বেড়েছে পেঁয়াজ-রসুন-মুরগির দাম

রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে মুরগি, পেঁয়াজ, রসুন ও ডিমের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়েছে। ডিমের হালিতে দাম ৬ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকায়। বেড়েছে পেঁয়াজ ও রসুনের দামও।

শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার, মাস্টার পাড়া, নিউমার্কেট ও শালবাগান বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।

ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা কয়েক দিন আগে ছিল ১৫০ টাকা। আর সোনালি মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। যা গত বুধবার ছিল কেজি প্রতি ২৩০ টাকা। বেড়েছে পেঁয়াজের দামও। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশী পেঁয়াজ ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন কেজি প্রতি ৩০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ টাকায়। আদা কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা।

নগরীর সাহেববাজারের মুরগি দোকানদার মিঠু হোসেন জানান, কয়েক দিন আগে ব্রয়লার মুরগি ১৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। এখন বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। সোনালি ২৫০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ টাকা, হাঁস ৩৩০ টাকা, রাজহাঁস ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। তবে দাম আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন এই মুরগি ব্যবসায়ী।

সাহেববাজারের ফাহিম ডিম ভাণ্ডারের মালিক মাসুদ রানা জানান, লাল ডিম পাইকারিতে হালি ৪৪ টাকা আর সাদা ডিম ৪০ টাকা। হাঁসের ডিম ৪৮ টাকা। বাজারে ডিমের ঘাটতি রয়েছে। ডিমের দাম আরো বাড়বে।

একাধিক ক্রেতা জানান, ডিম-মুরগি, রসুন-পেঁয়াজসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে আমাদের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়ছে। কারণ যে হারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে সে অনুযায়ী আয় বাড়ছে না। আয়ের সাথে ব্যয়ের ব্যবধান অনেক।

কয়েকজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী জানান, সবকিছুর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে ডিম-মুরগির দাম বাড়া অস্বাভাবিক নয়। করোনায় রাজশাহীতে ৭০ ভাগ খামার বন্ধ হয়েছে। মাঝখানে উৎপাদন খরচ আরো বেড়েছে। কারণ ভুট্টা, সয়াবিন মিল ও প্রোটিনের দাম বেড়েছে।

তারা বলেন, কয়েক মাস আগে খামারিরা মুরগির বাচ্চা তোলা বন্ধ করে দেন। ফলে সেই সঙ্কট এখন দেখা দিয়েছে। ৫০ শতাংশ খামারে মুরগি নেই। এ কারণেই দাম বেড়েছে। এ দাম আর একটু বাড়ার পর কমতে থাকবে বলে মনে করেন তারা।