Naya Diganta

বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ : আরো ১ আসামির স্বীকারোক্তি

বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ : আরো ১ আসামির স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেনসহ আরো এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম আসামিদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। স্বীকারোক্তি দেয়া অপর আসামি হলেন আব্দুল মান্নান।

টাঙ্গাইলে কোর্ট ইন্সপেক্টর তানভির আহমেদ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার দুপুরে রিমান্ডে থাকা চার আসামিকে আদালতে হাজির করেন। তারা হলেন ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রতন হোসেন, আব্দুল মান্নান, খন্দকার হাসমত আলী ওরফে দীপু ও জীবন। তারা সবাই তিনদিনের রিমান্ডে ছিলেন। এদের মধ্যে রতন ও মান্নান স্বেচ্ছায় আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে চার আসামিকেই আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এখন পর্যন্ত এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া ১৩ আসামির মধ্যে ১১ জনই আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তারা সবাই জেলহাজতে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস কুষ্টিয়া থেকে ২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল বাসে উঠে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতরা বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটে নেন নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু। ডাকাতিতে বাধা দেয়ায় চলন্ত বাসেই তারা এক নারী যাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ডাকাতদল বাসের গতিপথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে বাসটি ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যাত্রীদের উদ্ধার করেন। ওই বাসের যাত্রী হেকমত মিয়া মধুপুর থানায় বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।