Naya Diganta

জীবননগরে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে অনিয়ম, ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার অবরুদ্ধ

জীবননগরে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের পণ্য আ’লীগ নেতার গাড়িতে

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য তোলা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ শাহ, ইউপি সদস্য মানিক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের জবাকে পরিষদে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেন রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদেরকে ছাড়িয়ে নেয়।

বুধবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র ঘটনাস্থলে যান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আবু তাহের জবাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও জবানবন্দি নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ রাসেল হোসেন বলেন, রশিদ চেয়ারম্যান ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মানিককে দিয়ে ৫০টি কার্ডের পণ্য তুলছিলেন। জনগণ দেখে তাদের কাছ থেকে কার্ডগুলো কেড়ে নিয়েছে। তারা টিসিবির পণ্য জবার গাড়িতে করে নিয়ে যেত। এজন্য সবাইকে ইউনিয়ন পরিষদে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।’

২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকবার হোসেন বলেন, ‘মানিক মেম্বার যখন গাড়ি থেকে একবারে ৫০টি কার্ড দিয়ে টিসিবির পণ্য নিতে যাচ্ছিল, তখন জনগণ কার্ডগুলো কেড়ে নেয়। মানিক মেম্বার টিসিবির পণ্য তুলে আবু তাহের জবার গাড়িতে নিয়ে যাবে বলে ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে গাড়ি নিয়ে এসেছিল।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন আবু তাহের জবা। তিনি বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদে ট্রেড লাইসেন্স নিতে এসেছিলাম। আজ ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য দেবে আমি জানতাম না। আমি পরিষদে আসার পর ওই পক্ষ আন্দোলন করছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।’

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মানিক বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে কার্ড বিতরণ করছিলাম। এ সময় আমার কাছ থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আকবার কিছু কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তারা দাবি করছে, আমরা টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম করছিলাম বলে।’

রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুর রশিদ শাহ বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে যেসব দাবি করা হচ্ছে, সেগুলো মিথ্যা। রায়পুরের কৃষ্ণপুরের জমি নিয়ে ঝামেলার কারণে প্রতিপক্ষ এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে জবাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নেয়া হয়। এবং তার জবানবন্দি নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’