Naya Diganta

সোনারগাঁওয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বেহাল : জরাজীর্ণ ভবনে স্বাস্থ্যসেবা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত। জরাজীর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা। ভবনগুলোর অবস্থা অসুস্থ রোগীর মতোই। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। সোনারগাঁওয়ে ১০টি ইউনিয়নে ৩৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি ক্লিনিক নানা সমস্যায় জর্জরিত। বহু ক্লিনিকে নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল এবং ওষুধের সঙ্কট তো রয়েছেই। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। নেই পানির সরবরাহ ব্যবস্থা। অনেক ক্লিনিকে শৌচাগার নষ্ট। সংস্কার না হওয়ায় এসব কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের। ভবনধসসহ বেশির ভাগ ভবনের ছাদে ফাটলসহ দরজা-জানালা খুলে গেছে। এ অবস্থায় রোগীদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছেন না কমিউটিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডররা (সিএইচসিপি)। ফলে অত্যাধুনিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ভারগাঁও, নানাখী, জামপুর ইউনিয়নের মুন্দিরপুর, বুরমদী, সোনারগাঁও পৌরসভার দরপত আদর্শ কমিউনিটি ক্লিনিক, বস্তল, সনমান্দি ইউনিয়নের চরভুলুয়া, কাফাইয়াকান্দি, সনমান্দি, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাজিরগাঁ, বৈদেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী, দামোদরদী, পিরোজপুর ইউনিয়নের তাতুয়াকান্দা, দুধঘাটা, পিরোজপুর, জৈনপুরসহ শম্ভুপুরা ইউনিয়নের রাম গোবিন্দেরগাঁও ক্লিনিকগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত।
জানা যায়, সোনারগাঁওয়ে ১০টি ইউনিয়নে প্রায় ৩ লাখ ৬৮ হাজার মানুষের বসবাস। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে একজন নাগরিক টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা পেয়ে থাকে।
এ দিকে আধা ভাঙা ভবনে চলছে পিরোজপুর ইউনিয়নের জৈনপুর ও দুধঘাটা কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম।
এ ছাড়া হামছাদী, দামোদরদী, বুরুমদী কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে নিরাপত্তাবেষ্টিত দেয়াল না থাকায় চিকিৎসাসামগ্রী চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্লিনিকের বৈদ্যুতিক পাখাগুলো নষ্ট, নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা।
সোনারগাঁও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সাবরিনা হক জানান, এ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের অধীনে। ডাক্তাররা ক্লিনিকগুলো পরিচালনা করলেও সংস্কারের দায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদফতর পালন করে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্লিনিকগুলোর তালিকা স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া হেলথ ইঞ্জিনিয়ারের কর্মকর্তাদেরও তালিকা দিয়েছেন। আশা করছেন এ বছরের মধ্যেই সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা: মশিউর রহমান জানান, সংস্কারের জন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে। শিগগিরই টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ শুরু হবে।