Naya Diganta

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ : আরো ২ আসামির স্বীকারোক্তি

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ : আরো ২ আসামির স্বীকারোক্তি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের মামলায় আরো দুই আসামি আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এই আসামিরা হলেন- বাবু হোসেন ওরফে জুলহাস (২১) ও সোহাগ মন্ডল (২০)।

বুধবার বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

টাঙ্গাইলের কোর্ট ইন্সপেক্টর তানবীর আহাম্মেদ জানান, আসামি জুলহাস ও সোহাগ ডিবি পুলিশের রিমান্ডে ছিলেন। মঙ্গলবার এই দুজনসহ ছয়জন আসামিকে তিনদিন করে রিমান্ড দেন আদালত। পরবর্তীকালে এই দুজন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে বুধবার বিকেলে তাদের আদালতে তোলা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওরিন করিম তাদের জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এই মামলায় বুধবার পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নয়জন আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে ঈগল এক্সপ্রেসের একটি বাস কুষ্টিয়া থেকে ২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল। পথে যাত্রীবেশে ডাকাত দল বাসে উঠে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতরা বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে লুটে নেন নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কারসহ সবকিছু। ডাকাতিতে বাধা দেয়ায় চলন্ত বাসেই তারা এক নারী যাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে ডাকাতদল বাসের গতিপথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের সামনে বাসটি ফেলে রেখে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যাত্রীদের উদ্ধার করেন। ওই বাসের যাত্রী হেকমত মিয়া মধুপুর থানায় বাস ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।