Naya Diganta

গাজীপুরের সেফ হোম থেকে বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র।

গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফ হোম) থেকে বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার মহানগরীর বাসন থানাধীন মোগরখাল এলাকাস্থিত ওই কেন্দ্রের তৃতীয় তলার টয়লেট থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মোসা: মিতু (২১), শ্রীপুর থানার ধর্ষণ ঘটনার ভিকটিম। তার বাবা-মায়ের নামসহ বিস্তারিত ঠিকানা জানা যায়নি।

কেন্দ্রের সুপার পারভিন আক্তার জানান, বুধবার ভোরে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাসের পাশে অবস্থিত মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্রের তৃতীয় তলার টয়লেটে একটি রডের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মিতুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় কেন্দ্রের অন্য নিবাসীরা। তারা অফিসের লোকজনকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিতুর ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, এর আগেও মিতু একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তবে কি কারণে মিতু ফাঁস নিয়ে এবার আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি। ইতোপূর্বে মিতু কোনবাড়ি শিশু (বালিকা) উন্নয়ন হেফাজত কেন্দ্রে ছিল। সেখান থেকে তাকে চলতি বছরের ১ মার্চ এ হেফাজত কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়। শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার ভিকটিম ছিলেন ওই মিতু। বুধবার সকালে টয়লেটের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে পুলিশ।

জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মোহাম্মদ মালেক খসরু খান জানান, মিতু গাজীপুরের শ্রীপুর থানার ধর্ষণের ঘটনার একটি মামলার ভিকটিম। মিতু একজন বাকপ্রতিবন্ধী, কথা বলতে পারে না। ইশারা-ঈঙ্গিতে স্বজনদের সাথে কথা বলতেন মিতু। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সেখানে তার লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ সময় তার গলায় ফাঁস নেয়ার আলামত ছিল। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার মো: জাকির হাসানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।