Naya Diganta

‘রাক্ষুসে প্রজাপতি’র যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ ইস্তাম্বুলের বাসিন্দারা

সম্প্রতি ইস্তাম্বুলে পোকামাকড়ের উপদ্রুপ খুব বেড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এক ধরনের প্রজাপতি। ‘রাক্ষুসে প্রজাপতি’ বললেই যথার্থ হবে। এদের যন্ত্রণায় ঘর থেকে বের হওয়াই দায় হয়ে গেছে স্থানীয়দের।

তবে এই প্রজাপিত নামের মতো অতটা ভয়ঙ্কর নয়। অন্তত মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু উদ্ভিদের জন্য হানিকর। বিশেষজ্ঞরা এমনটাই বলছেন।

তারা জানান, ইস্তাম্বুলের বেকোজ মহানগরীর উত্তর এশীয় প্রান্তে বসফোরাস এবং কৃষ্ণ সাগরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ করে গাছপালা, ফসল এবং আবাসিক এলাকায় এই রাক্ষুসে প্রজাপতিগুলোর উৎপাত সবচেয়ে বেশি।

সম্প্রতি দিমিরোরেন নিউজ এজেন্সিকে সেখানকার এক নারী বাসিন্দা বলেন, ‘আমি পোকা মাকড়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। ঘর থেকে বের হতে পারি না। বারান্দায় পর্যন্ত বসতে পারি না।’

তবে তিনি সবচেয়ে বেশি চিন্তিত তার গাছগুলো নিয়ে। পোকাগুলোর আক্রমণে তার গাছগুলো শুকিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমি কীটনাশক ব্যবহার করছি। কিন্তু তেমন কাজ করছে না।’

রাক্ষুসে-প্রজাপতি-৩

আরেকজন বাসিন্দা বলেন, ‘বিকেলের দিকে রাক্ষুসে প্রজাপতিগুলো বেশি আসে। বাইরে বের হতে পারি না। বলা যায়, হামলা করে বসে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণ প্রজাপতিগুলো কোমল কিন্তু এগুলো পাথরের মতো শক্ত। যখন দলবেধে আসে, মনে হবে কেউ আপনার গায়ে পাথর ছুঁড়ে মারছে!’

’ভ্যাম্পায়ার’ নামের এই প্রজাপতিগুলো প্ল্যান্টথপার উপ-প্রজাতির অন্তর্ভূক্ত। গ্রীষ্মকালে এবং বিকেলের দিকে এই পোকাগুলো ইস্তাম্বুলের বেকোজ, বেসিকতাস এবং সারিয়ার উপজেলায় বেশি দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে এই পোকার আক্রমণে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায়।

আনাদোলু এজেন্সিকে বেকোজের এলমালি গ্রামের বাসিন্দা মেলেককারাউগ্লু বলেন, ‘আমার বাগানের কোনো ফসল অবশিষ্ট নেই। টমেটু নেই। মরিচ নেই। সব শেষ করে ফেলেছে পোকাগুলো।’

রাক্ষুসে-প্রজাপতি-৪

বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘এই পোকাগুলো সাধারণত কৃষ্ণ সাগরের উপকূলীয় অঞ্চল জিওরজিয়া থেকে আসছে। এরপর বিস্তার ঘটিয়ে পরে পশ্চিমে চলে যাবে।’

ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটির উদ্ভিদবিদ সহকারি অধ্যাপক ফাতিহ ডিকম্যান বলেছেন, ‘ভ্যাম্পায়ার প্রজাতির কারণে মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে পোকাগুলো।’

সূত্র : ডেইলি সাবাহ