Naya Diganta

জনস্বাস্থ্যে বিরাজমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন জরুরি

বাংলাদেশে তামাকজনিত রোগে প্রতিদিন প্রায় ৪৫০ জন মৃত্যুবরণ করছে। এই বিপুলসংখ্যক মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব তামাকবিষয়ক আইনকে আরো যগোপযোগী করে। বিরাজমান আইনটিকে জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য আরো উপযোগী করে সংশোধন করা হলে দৈনিক এত মানুষের মৃত্যু হবে না। ‘জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন ত্বরান্বিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা বলেন। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ কর্মশালাটির আয়োজন করে। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার (ক্লিনিকাল রিসার্চ) ডা: শেখ মো: মাহবুবুস সোবহান। তিনি বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের বহুল ব্যবহারের কারণে হৃদরোগ, বক্ষব্যাধি, ক্যান্সার এবং অন্যান্য অনেক প্রতিরোধযোগ্য রোগ এবং মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। দেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে এক লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাকের এসব ক্ষতি থেকে জনস্বাস্থ্যকে রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। যতো দ্রুত আইনটি সংশোধন করা হবে ততো বেশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজর মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টারস ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে বিদ্যমান ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইনটিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এফসিটিসির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যতদ্রুত সম্ভব সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা জরুরি। অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে প্রতিরোধযোগ্য অনেকে রোগেই মানুষ মারা যাচ্ছে। সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারলে এসব রোগ প্রতিরোধ করা যায়। এর মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অন্যতম। বিরাজমান আইনটিতে এমন কিছু রয়েছে যেগুলো সংশোধন করা হলে ধূমপানে বা তামাক দ্রব্য ব্যবহার আরো কমিয়ে আনা সম্ভব। বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি রাশেদ রাব্বি বলেন, জনস্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছে হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। এই ফোরামের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন করে থাকেন। তারা সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সচেতন করবেন বলে জানান।