Naya Diganta

শৈলকুপায় আ’লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২৫, ৪০ বাড়ি ভাঙচুর

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, হামলা ও ৪০টির মতো বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। সোমবার ৭টার দিকে উপজেলার ১২ নম্বর নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়নের শেখরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিত্যানন্দনপুর ইউনিয়ন অওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বর্তমান চেয়রম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ফারুক বিশ্বাসের সমর্থকদের মধ্যে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকের সমর্থকরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে ফারুকের সমর্থকরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ দিন ধরে বর্তমান চেয়ারম্যান এবং সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। গত রোববার সন্ধ্যায় মাখন নামে ফারুকের সমর্থক এক ব্যক্তিকে মারধর করে মফিজ সমর্থকরা। এ ঘটনায় সোমবার সকালে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা ঢাল-সড়কি, রামদা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শেখরা গ্রামে এসে ৪০টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে উভয় গ্রুপের কমপক্ষের ২২ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মাজেদুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ছাড়া উভয় গ্রুপের ৪০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অপর দিকে মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস সমর্থক শেখরা গ্রামের আয়শা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ফারুক সমর্থকদের শতাধিক ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
এ দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক বিশ্বাস বারবার তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ফারুক বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনের পর থেকে তিনি ও তার সমর্থকরা এলাকায় থাকতেই পারছেন না।
শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, শেখরা গ্রামে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছেন এবং এলাকায় পুলিশি টহল আরো জোরদার করেছেন। বর্তমান এলাকাটি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।