Naya Diganta

বধিরতা মুক্ত হয়েছে ৬০৫ শিশু, আরো ১০০ শিশুকে টার্গেট

সম্পূর্ণ শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ৬০৫ শিশু স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে। এরা কানে শুনতে পেত না, কথাও বলতে পারত না। তারা এখন পুরোপুরি শুনতে পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় এদের বিনামূল্যে ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট স্থাপন করে দেয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো: শারফুদ্দিন আহমেদ এটাকে সরকারের একটি বড় অর্জন হিসেবে বর্ণনা করেন। এ পর্যন্ত শিশুসহ মোট ৬২৫ জন স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছে।
এই চিকিৎসাপদ্ধতি যেমন জটিল তেমন ব্যয়বহুল। শুধু ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইসের দাম হলো ছয় থেকে ১৪ লাখ টাকা। ২০১০ সালে যখন এই কর্মসূচিটি চালু হয় তখন ডিভাইস-সহ চিকিৎসার ব্যয় ছিল প্রায় অর্ধকোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অটোল্যারিংগোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, অডিওলজিস্ট, স্পিচ থেরাপিস্টসহ সুদক্ষ টিমের কারণে এই সেবাটি চলে আসছে।
গতকাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রোভিসি অধ্যাপক ডা: মো: জাহিদ হোসেন, প্রোভিসি অধ্যাপক ডা: ছয়েফ উদ্দিন আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যক্রম বিএসএমএমইউ’র অটোল্যারিংগোলজি-হেড অ্যান্ড নেক সার্জারি বিভাগের অটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা: এ এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু।
ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বা বায়োনিক ইয়ার হলো শ্রবণ সহায়ক অত্যাধুনিক অত্যন্ত ব্যয়বহুল এমন একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস, এ যন্ত্রটি সম্পূর্ণ বধির ব্যক্তিকে শব্দ শুনতে সহায়তা করে।