Naya Diganta

রাজাপুরে পল্লী বিদ্যুতের অবহেলায় ঘটতে পারে প্রাণহানি

রাজাপুরের বড়কৈবর্তখালী গ্রামে মানুষের হাঁটাচলার পথে ঝুলে রয়েছে পল্লী বিদ্যুতের ১১ হাজার ভোল্টেজের তার : নয়া দিগন্ত

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বড়কৈবর্তখালি গ্রামে ঠিকাদারের স্বেচ্ছাচারিতা ও পল্লীবিদ্যুতের অবহেলায় বিদ্যুতের খুঁটি হেলে তার ঝুলে রাস্তার ওপরে পড়ে থাকায় আতঙ্কে আছেন এলাকাবাসী। কয়েক মাস আগে গ্রামের ক্লাব থেকে ফুলহার পর্যন্ত রাস্তার কাজীবাড়ির সামনে একটি কালভার্ট নির্মাণের সময় পাশে থাকা পল্লীবিদ্যুতের খুঁটির গোড়ার মাটি খনন করা হয়। বর্তমানে এলাকায় পানি ওঠায় মাটি নরম হয়ে খুঁটিটি উত্তর দিকে হেলে পড়ার ফলে ১১ হাজার ভোল্টেজের বিদ্যুতের তার ঝুলে পড়েছে। তারের নিচে রয়েছে ক্লাব থেকে ফুলহার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রাস্তা ও এলাকার কৃষিক্ষেত।
কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, তার ক্ষেতের পেঁপে ও কলা গাছের সাথে বিদ্যুতের তার মিশে আছে এবং প্রায়ই ফায়ারিং হয়। এ বিষয় রাজাপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে একাধিকবার অভিযোগ করলেও মেলেনি কোনো প্রতিকার।
স্থানীয়রা জানান, ওই রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় আমরা আতঙ্কে থাকি। ১১ হাজার ভোল্টেজের ঝুলন্ত ঝুঁকিপূর্ণ তারে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আগে বিষয়টি সমাধানের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রাজাপুর পল্লীবিদ্যুতের এজিএম মধূসুদন রায় বলেন, গত মার্চ মাসে ওই স্থানে সরেজমিন দেখতে গিয়েছিলাম। উপজেলা এলজিইডি অফিসকে পল্লীবিদ্যুৎ বরাবরে আবেদন করতে বলেছি। কালভার্ট নির্মাণের কারণে ওই খুঁটি ও বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন ওই খুঁটি ঠিক করতে খরচের বিষয় আছে। এলজিইডি প্রকৌশলীর আবেদন ছাড়া আমরা কাজ করলে তার খরচ বহন করবে কে?
কালভার্ট ও সড়কের ঠিকাদার রাজাপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা বলেন, ওই খুঁটির স্থানের জমির মালিকরা মাটি কেটেছেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈয়দ সুমনসহ অনেকে জানান, কালভার্ট নির্মাণের সময় ঠিকাদারের শ্রমিকরাই খুঁটির গোড়ার মাটি কেটে নেয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।