Naya Diganta
নি ত্যো প ন্যা স

অদ্ভুত অদল বদল

নি ত্যো প ন্যা স

সাতাশ.
তবে শোন, এখন আমরা দুজন শরীর অদল বদল করেই ঢুকব।’
‘বুঝতে পেরেছি। আমি মোটা ভুত আমি ঢুকব গিয়ে ওই মোটার শরীরে। তুই রোগা ভুত, তুই ঢুকবি গিয়ে ওই চিমসের শরীরে।’
‘ঠিক তাই। তাতে কি হবে জানিস?’
‘কি হবে?
‘তুই মোটা বলে রোগা হতে চাইবি, কিছু খেতে মন চাইবে না। ওই মোটা মানুষেরও সেই অনুভূতি হবে তখন সেই না খেয়ে থাকবে, আর তাতেও তোরা দুজনেই স্লিম হয়ে যাবি। আবার আমি স্বাস্থ্য ভালো করার জন্য খেতে চাইব, ওই চিমসেও খেতে চাইবে, তাতে দুজনেরই স্বাস্থ্য ভালো হয়ে যাবে।’
‘আর বের হবো কখন?’
‘সে সময় হলেই বলব। এখন চল মজা দেখি।’

অমবস্যার রাত। মাঝরাত। ভূতের ওঝার আস্তানা। বটগাছঘিরে শানবাঁধানো। বটগাছের ঝুরি নেমে গেছে। ঝুরিতে অন্ধকারটা আরো গাঢ় হয়ে আছে। শানের উপর কয়েকটা লাল রঙের মোমবাতি জ¦লছে। ওঝা বসে আছে তার আসনে। সামনে কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আব্বাছ খাঁ ও শারাফাত আলী। দাড়িয়ে থাকতে শারাফাত আলীর কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এখানে বসার কিছু নেই। বসলে মাটিতেই বসতে হয়। মোটা শরীর নিয়ে সারাফত আলীর পক্ষে সেটা সম্ভব নয়।
ওঝা লাল চোখ মেলে তাকাল। ‘টাকা ঠিকঠাক এনেছিস?’
শারাফাত কাঁপা কাঁপা গলায় বলল, ‘জি¦ জনাব।’
আব্বাছ খাঁ বলল, ‘আপনি দুই জনের ভুত একসাথে তাড়াবেন। টাকা কিন্তু দুজনে মিলেই দুই লাখ দেবো।’ (চলবে)