Naya Diganta

আশা এখন সলিডারিটি গেমসকে ঘিরে

যেহেতু শ্যুটিং ছিল না তাই বামির্ংহাম কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশের পদক জয়ের আশাও কেউ করেনি। তবে যতটুকু উন্নতি করা যায় এবং তা দিয়ে ইসলামী সলিডারিটি গেমসে ভালো করাই লক্ষ্য। গত পরশু টিটি দলগত ইভেন্ট এবং কুস্তি দিয়ে বাংলাদেশ দলের বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস সমাপ্ত হয়েছে। এখন লাল-সবুজ ক্রীড়াবিদদের নজর তুরস্কের কোনিয়ায়। ৯ আগস্ট গেমসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলেও আজ টেবিল টেনিস এবং মহিলা হ্যান্ডবল দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশ দলের খেলা। মহিলা টিটিতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক তুরস্ক।
টেবিলে টেনিস বাংলাদেশ দল পদক পাবে এমন আশা করা কঠিন। তবে তারা যে ভালো করবে সেই ইঙ্গিত মিলেছে বার্মিংহামে। তার পুরুষ এবং মহিলা দুই বিভাগেই। তবে কাক্সিক্ষত স্বর্ণপদক যদি আসে তাহলে তা আরচারিতেই আসবে। ১৪ আগস্ট থেকে আরচারি শুরু হবে। এতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের আশা রিকার্ভ এবং কম্পাউন্ড দুই ইভেন্টেই মহিলা, পুরুষ ও মিশ্রতে। রোমান সানা, দিয়া সিদ্দিকী, সাগর ইসলাম এবং নাসরিন আক্তাররা আছেন বলেই রিকার্ভের চার ইভেন্টেই পদক জয়ের আশা। যদিও বাংলাদেশ আরচারি ফেডারেশনের সেক্রেটারি কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল জোর দিয়ে বললেন না স্বর্ণ জয়ের কথা।
বাংলাদেশ থেকে সবার আগে কোনিয়া গেছে মহিলা হ্যান্ডবল দল। আর টিটি দল ইংল্যান্ড থেকে তুরস্কে পৌঁছেছে। রামহিমলিম, মুহতামিন হৃদয় এবং রিফাত সাব্বিররা আশা দেখাতেই পারেন। গতকাল তুরস্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস দল। হাইজাম্পার রিতু আক্তারের সাথে কোচ কাম ম্যানেজার হিসেবে গেছেন ফারহাদ জেসমিন লিটি। ইংল্যান্ড থেকে তুরস্কে আসবেন উম্মে হাফসা রুমকি এবং ইমরানুর রহমান। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ইমরানকে নিয়ে আশা দেখা হলেও তিনি ব্যর্থ কমনওয়েলথ গেমসে। হাইজাম্পেও সেই কাতারে রুমকিরা।
তবে বাংলাদেশের বড় আশা জিমন্যাস্টিকসে। নিউজিল্যান্ড প্রবাসী আলী কাদের হক, আবু সাঈদ রাফি এবং শিশির আহমেদরা পদক এনেও দিতে পারেন। জিমন্যাস্টকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদুর রহমান বাবলু জানান, এই ডিসিপ্লিনে অন্য দেশের তুলনায় খুব একটা পিছিয়ে নেই বাংলাদেশ। তাই আমরা পদকের আশা করতেই পারি।
উল্লেখ্য, সলিডারিটি গেমসে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস, আরচারি, ফেন্সিং, জিমন্যাস্টিকস, হ্যান্ডবল, কারাতে, শুটিং, সাঁতার, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন ও কুস্তিুতে অংশ নেবে।