Naya Diganta

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, প্রচুর হতাহত

ইনসেটে ইসলামিক জিহাদের আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার তায়াসির আল-জাবারি।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় অন্তত চারজন মানুষ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার ইসরায়েল এ হামলা চালায় বলে জানায় আলজাজিরা। সংবাদমাধ্যমটির তথ্যমতে- নিহতদের মধ্যে ইসলামিক জিহাদের একজন কমান্ডার এবং ছোট একটি মেয়ে শিশু রয়েছে।

ইসলামিক জিহাদ জানায়, তাদের আল কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার তায়াসির আল-জাবারি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন। গাজা সিটির ফিলিস্তিন টাওয়ারে ছিলেন তিনি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে পাঁচ বছরের একটি শিশু আছে। তাছাড়া আরো ২৩ জন আহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে অবস্থিত সেই ভবনটির সাত তলা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।

ফিলিস্তিনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে কয়েকদিন ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরমধ্যে এ হামলা চালানো হলো।

আল জাজিরাকে ওই ভবনের একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, দুপুরের পর হামলা হয়। ওইখানে অনেক বেসামরিক মানুষ বসবাস করেন। শুক্রবার বিমান হামলার পর গাজায় আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স বর্তমানে গাজায় উপত্যকায় হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলের সম্মুখভাগে বিশেষ অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহে গাজার আশপাশের শহরগুলো বন্ধ করে দেয় ইসরাইল। তাছাড়া সীমান্তে অনেক সেনা পাঠায় তারা। ফিলিস্তিনের সিনিয়র নেতাকে আটকের কারণে হামলা হতে পারে এই দোহাই দিয়ে তারা সেখানে জড়ো হয়।

ফাওজি ব্রাহমোম নামে হামাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলার জবাব দেয়া হবে।

এদিকে এর আগে শুক্রবার গাজায় ইসরায়েল অংশে আসেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গানজ। তিনি জানান, হুমকি নিশ্চিহ্ন করতে তারা অভিযান চালাবেন। ওই সময় তিনি জানান, ইসরায়েল কোনো যুদ্ধ চায় না। কিন্তু নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে তারা চুপ করে থাকবেন না।

এদিকে এই গাজা উপত্যকা নিয়ে গত ১৫ বছরে চারবার যুদ্ধ করেছে ইসরায়েল ও হামাস। নতুন করে বিমান হামলার কারণে সেখানে নতুন করে আবার বড় ধরনের দ্বন্দ্ব লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র : আল জাজিরা