Naya Diganta

মনের সৌখিনতা

মানুষের মনের সৌখিনতা একটি অনিন্দ্য সুন্দর বিষয়। মনের সৌখিনতা সবার মধ্যে থাকে না। আর যার মনে সৌখিনতা থাকে সে অন্য সবার চেয়ে একটু আলাদা হয়। সবাই তাকে আলাদাভাবেই চেনে। কারণ তার কাজ-কর্ম, আচার-ব্যবহার, সাজগোজ সব কিছুতেই থাকে ভিন্নতার ছাপ। মনের সৌখিনতা মানুষের স্বভাবজাত অভ্যাসও হতে পারে আবার পরিবর্তিত অভ্যাসও হতে পারে। ধরা যাক, কেউ সৌখিন মনের কোনো মানুষের বাড়িতে গেলেন। দেখলেন তার বাড়ির গেট দিয়ে ঢোকার পথে সারি সারি ফুলগাছ লাগানো, হরেক রঙের ফুল ফুটে আছে। তিনি দেখে মুগ্ধ হলেন। মনে মনে ভাবলেন আমার বাড়ির গেটে ঢোকার পথেও তো আমি এমন ফুলগাছ লাগাতে পারি তাতে আমার বাড়ির সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পাবে। এরপর সে ওই ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকল। দেখল ঘরদোয়ার একদম সাজানো-গোছানো। হরেক রঙের ফুলের টব ঘরের ভেতরেও। তা ছাড়া খাট, সোফা, চেয়ার, টেবিল সব কিছুতেই ব্যক্তির সৌখিনতার ছাপ স্পষ্ট। এভাবে অন্যের সৌখিনতা দেখে মানুষের মনে সৌখিনতা আসতে পারে।
মনের সৌখিনতা মানুষের মাঝে ফুলের মতো সৌরভ ছড়ায়। আমরা সৌখিনতার বিষয়টি আরো ভালো করে লক্ষ করি যখন কারো বাড়িতে যাই। স্বভাবতই আমরা যখন একটি অসুন্দর বা অগোছালো ঘর দেখি তখন মনে একটা ভিন্ন ধারণা জন্ম নেয়। আবার যখন একটি সুন্দর সুগোছালো ঘর দেখি তখন আমাদের মনে এক ধরনের আনন্দের ফুল ফোটে। আমরা ফুলের সুবাসে যেমন মুগ্ধ হই তেমনি মানুষের মনের সৌখিনতাও আমাদেরকে মুগ্ধ করে।
সৌখিন মনের মানুষকে সবাই পছন্দ করে। সৌখিনতার ছোঁয়া মানুষকে তৃপ্তি দেয়। তাই সৌখিন মনের মানুষ মানেই ভিন্নতা। মনের সৌখিনতা সৌখিন মানুষের পরিচায়ক। আমরা যদি সৌখিন মনের অধিকারী হতে পারি তাহলে সৌখিনতা আমাদেরকে ভিন্নভাবে পরিচিত করবে। মনের সৌখিনতা ছড়াবে ফুলের সুবাস, যা পৌঁছে যাবে সবার হৃদয়ে হৃদয়ে।