Naya Diganta

ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি মারিও জাগালো হাসপাতালে

মারিও জাগালো

ব্রাজিলের ফুটবল কিংবদন্তি মারিও জাগালো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ব্রাজিলের এই ‘আইকনিক’ ফুটবল ব্যক্তিত্বের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে বুধবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। রিও ডি জেনিরোর হাসপাতাল বারা ডি’অর খবরটি নিশ্চিত করেছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জাগালোকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।

তবে ৯০ বছর বয়সী জাগালোর শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছে বারা ডি’অর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, যন্ত্রের সাহায্য ছাড়াই তিনি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন।

এর আগে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছিলেন জাগালো। পরে পরীক্ষায় তিনি নেগেটিভ হয়েছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্বটা প্রথম গড়েছিলেন জাগালো।

আগামী মাসে ৯১ বছরে পা রাখতে যাওয়া জাগালো ব্রাজিলিয়ান ফুটবলে ‘বুড়ো নেকড়ে’ নামে পরিচিত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ বয়সেও তিনি বেশ সরব। প্রায়ই নিজের খেলোয়াড়ী জীবনের বিভিন্ন ছবি ও সুভ্যেনির ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারী সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। মাত্র চার দিন আগেই তিনি সেলুনে চুল-দাঁড়ি কাটানোর একটি ছবি পোস্ট করেছেন।

১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে পেলের সাথে খেলে বিশ্বকাপ শিরোপা উপহার দিয়েছেন ব্রাজিলকে। এরপর ১৯৭০ সালে কোচ হিসেবে ব্রাজিলকে বিশ্বকাপের শিরোপা উপহার দেন। ১৯৯৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলটিতে তিনি সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর আবারো ১৯৯৮ সালে কোচের দায়িত্ব পান। সে আসরে ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়েছিল ব্রাজিল।

খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে জাগালো ছাড়াও বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব রয়েছে শুধুমাত্র জার্মানির ফ্রেঞ্জ বেকেনবাওয়ার (১৯৭৪ ও ১৯৯০) এবং ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশ্যমের (১৯৯৮ ও ২০১৮)।

তোস্তাও, পেলে, জর্জিনহো, রিভেলিনো, জারসনদের নিয়ে জাগালোর অধীনে ১৯৭০’র বিশ্বকাপে অসাধারন ফুটবল খেলেছিল ব্রাজিল। আক্রমণাত্মক ফুটবলের পূজারি জাগালোর দ্রুত সুস্থতা কামনা করে ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেন ব্রাজিলের অপর কিংবদন্তি পেলে। তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধু জাগালো, জানি তুমি কঠিন সময় পার করছ। কিন্তু এটা জেনে রাখো, তোমার দ্রুত সুস্থতার জন্য আমি প্রার্থনা করছি।’

৮১ বছর বয়সী পেলেও তিন বছর ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। কোলন ক্যান্সারের জন্য অস্ত্রোপচার করিয়েছেন এবং কিডনির পাথরও অপসারণ করাতে হয়েছে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী এই কিংবদন্তিকে। এ ছাড়া কোমরের সমস্যায়ও ভুগছেন পেলে।

সূত্র : বাসস