Naya Diganta

অদ্ভুত অদল বদল

ষোলো.

‘কি হইছে আব্বাছ ভাই? আমারে বলেন। কিন্তু জমি ওইটি আমার চাইই চাই। ওইখানে বাগানবাড়ি করব।’
‘ওই জমি আপনি পাবেন না। অন্যের জমি জালিয়াতি করে...’
‘আরে অন্যের জমি জালিয়াতির জন্যই তো আপনার কাছে এসেছি। বুঝেছি, টাকা আরেকটু বেশি দিতে হবে। ঠিক আছে আরো বিশ হাজার...’
‘না। আমি কোনো টাকা নেবো না। দলিলও দেব না।’ আব্বাছ খাঁ মক্কেলের দিকে টাকাটা ঠেলে ফেরত দেন। তারপর হাতে রাখা নকল জমির দলিল কুচিকুচি করে ছিঁড়ে ফেলেন।
মক্কেল মোখলেস হায় হায় করে ওঠে। ‘করলেন কী? করলেন কী? মাথাটা খারাপ হয়েছে নাকি আপনার?’
‘হু। আমার মাথা খারাপ। এই দুনম্বরী কাজ আর করব না। গরিবের জমি ঠকিয়ে আপনাদের বড়লোক করব না।’
মক্কেল মোখলেস টাকার বান্ডিল তুলে নিয়ে শাসাল। ‘কাজটা ভালো করলেন না। ওই জমি আমি নিবই। দেশে জালিয়াত আরো আছে। টাকা ছড়ালে জালিয়াতের অভাব হয় না। তবে আপনাকে দেখে নেবো।’
বেরিয়ে যেতে যেতে মক্কেল আঙুল উঁচিয়ে বলল, ‘ভূতে পাইছে আপনারে। নিজের ভূত ছাড়ান। না হলে মেরে ভূত ছাড়িয়ে দেবো।’
চমকে উঠল আব্বাছ খাঁ। ব্যাপার কি একটু আগেই তো একই কথা বন্ধু শারাফাত আলীকে সে বলে এসেছে। তাহলে বন্ধুর মতো তারও ওপর কি ভূতের আছর...
ভূতের আছর নিয়ে আব্বাছ খাঁ জমির মালিক নজুর কাছে গেল। গরিব কৃষক। জমি আর হালের বলদ সম্বল। তাকে নিরিবিলি ডেকে বলল, ‘তোমার জমি তো হাতছাড়া হয়ে যাবে মিয়া?’ (চলবে)