Naya Diganta

এই সরকারকে মানুষ আর দেখতে চায় না : ড. মোশাররফ

জনগণ আওয়ামী লীগ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, জনগণ চায় পরিবর্তন। মানুষ চায় এই সরকার অতি দ্রুত তার পদ থেকে পদত্যাগ করুক বা আমরা তাদের সরিয়ে দেই। গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
২০১১ সালের ৬ জুলাই সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুকসহ বিএনপির জনপ্রতিনিধিদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ড. মোশররফ বলেন, এখানে একজন বলেছেন-‘আমরা আন্দোলন করলেও সরকার যাবে, না করলেও যাবে। যদি ঘটনা সেইটাই হয় তাহলে জাতি আরেকটা অন্ধকারে প্রবেশ করবে। আর রাস্তায় নেমে আমরা যদি এদেরকে বাধ্য করতে পারি। তাহলে জনতার কাছে ক্ষমতা আসবে। সরকার শেষ প্রচেষ্টা হিসেবে আমাদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে। তিনি আরো বলেন, মান্না সাহেব ইঙ্গিত দিয়েছেন বাংলাদেশ যেমন বীরের দেশ, বাংলাদেশে অনেক মীরজাফরও আছে। অতএব আজকে বীরেরা সামনে এগিয়ে আসুক। মীরজাফররা যেন সামনে আসতে না পারে।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আমরা এ দেশে গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধার করতে চাই। আমরা এ দেশে অতিদ্রুত সরকারকে হটাতে চাই। এ দেশের জনগণ একটা নিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চায়। যে নির্বাচনে সরকার নিজের হাতে নিজের ভোট দিতে পারবে। ইভিএম মিশিনে নয়। আর এর মাধ্যমে জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি করবে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে বাংলাদেশ বন্যায় ভাসছে। কেন হচ্ছে! আমাদের উপরের দেশগুলোতে যে নদী আছে সেই প্রত্যেকটা নদীর মুখে বাঁধ আছে। আজকে যে সরকার তারা তাদের নতজানু নীতির কারণে এর প্রতিবাদ করতে পারে না। খরা মৌসুমে তারা পানি আটকে রাখে, বর্ষার মৌসুমে পানি ছেড়ে দেয়। এই নতজানু নীতি না থাকলে ভারতের সাথে কথা বলে এর সমাধান করতে পারত। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয়তাবাদী নবীন দলের সভাপতি হুমায়ূন আহমেদ তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা প্রমুখ।