Naya Diganta

নান্দাইল-আঠারোবাড়ি সড়কজুড়ে খানাখন্দ

নান্দাইল-আঠারোবাড়ি রাস্তার একাংশের অবস্থা : নয়া দিগন্ত

নান্দাইল-আঠারোবাড়ি সাত কিলোমিটার সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির নান্দাইল উপজেলায় পাঁচ কিলোমিটার এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় দুই কিলোমিটার পড়েছে। তিন বছর আগে সড়কটির নান্দাইল অংশ সংস্কার হলেও পাশের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি অংশে কোনো কাজ হয়নি। এ অবস্থায় জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দিয়ে চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধরা সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরণের আশ্বাস দিলেও সুখবর শুনতে পারেনি জনগণ।
নান্দাইল-আঠারোবাড়ি সড়কে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। অত্র এলাকা ছাড়াও পাশের কেন্দুয়া, হোসেনপুর উপজেলার মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে। এ দিকে আঠারোবাড়ি একটি বৃহৎ বাজার হওয়ায় প্রতিদিন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা এ রাস্তা দিয়ে মালামাল আনানেয়া করেন। নান্দাইল অংশে সড়কটি প্রশস্ত থাকলেও ঈশ্বরগঞ্জ অংশে সরু। ফলে যানবাহন চলাচলেও অসুবিধা দেখা দেয়। বর্তমানে পুরো রাস্তাটিই ভেঙে লণ্ডভণ্ড হযে গেছে। ফলে বর্তমানে রাস্তাটিতে যানবাহন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও রাস্তার দুই পাশে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। ফলে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। ফলে অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় যানবাহনকে।
অটোচালক উসমান গণি বলেন, ‘আমরা তো অটো নিয়ে যাইতে পারি না। রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় মাঝপথেই অটো নষ্ট হয়ে যায়। আমরা খুব বেকায়দায় আছি। কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাই রাস্তাটি যেন তাড়াতাড়ি মেরামত করা হয়।
শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাবিকুন্নাহার তামান্না বলেন, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে কলেজে আসি। রাস্তার যে অবস্থা তাতে অটোতে চললে খুব কষ্ট হয়। রাস্তাটি সংস্কার করে দিলে আমাদের চলাচলের সুবিধা হবে। নান্দাইল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, রাস্তাটি এলজিইডির আওতায়। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন, তবে কবে সংস্কার হয় তা জানি না।
নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশলী শাহবো রহমান সজিব বলেন, আমি উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। আমার জানা মতে রাস্তাটি সংস্কার ও প্রশস্ত করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অতি দ্রুত অনুমোদন হয়ে যাবে।