Naya Diganta

ইউরোর রেকর্ড পতন, ২০ বছরে সবচেয়ে কম

ইউরোর রেকর্ড পতন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা ইউরোর দাম মঙ্গলবার আরো কমেছে। ২০০২ সালের পর ইউরোর দাম কখনো এতটা কম হয়নি।

এখন ইউরোর মূল্য হলো ১.০২৮১ ডলার। দুই দশকের মধ্যে ইউরোর দাম সবচেয়ে কমে যাওয়ার পর প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি ইইউ আর্থিক মন্দার দিকে এগোচ্ছে?

ইউরোপের দেশগুলোতে এখন জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় অর্থনীতিও বেসামাল হয়ে গেছে।

ডলারের তুলনায় ইউরোর দাম মঙ্গলবার ১.৩ শতাংশ কমেছে। এই বছর ডলারের তুলনায় ইউরোর দাম আট শতাংশ কমেছে।

এর পাশাপাশি, মঙ্গলবার ফাঙ্কফুর্ট, লন্ডন ও প্যারিসে শেয়ার বাজার এক শতাংশ পড়ে গেছে। ফলে ইউরোপের আর্থিক সঙ্কট নিয়ে মানুষের চিন্তা বেড়েছে।

অন্য দেশের মুদ্রার অবস্থাও ভালো নয়। জাপানের ইয়েন, অস্ট্রেলিয়ার ডলারের দাম কমছে। ভারতেও রুপির দাম কমছে।

ইউরো বিশ্বের সবচেয়ে পরিচিত এবং প্রচলিত মুদ্রা। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সাধারণ মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত। ইইউ-এর ২৮টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৯ দেশে এই মুদ্রার প্রচলন রয়েছে। যেসব দেশে ইউরো চলে, তার মধ্যে ‘ইউরোজোন’ বলা হয়। এছাড়া কসোভো, মন্টেনিগ্রো ও ভ্যাটিকান সিটিতেও ইউরোর চল রয়েছে।

ইউরোজোনে ইউরোপের ১৯টি দেশ রয়েছে। সেখানে মন্দার সম্ভাবনা বাড়ছে।

সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ইউরোজোনে বাণিজ্যিক বৃদ্ধির হার কমেছে। জীবনধারণের খরচ বেড়েছে। এর ফলে জিনিসের চাহিদাও কমছে।

এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালের সমীক্ষা অনুযায়ী, মে মাসের ইউরোজোনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা ছিল ৫৪ দশমিক আট, জুনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫২-তে।

সংস্থার চিফ বিজনেস অ্যানালিস্ট ক্রিস উইলিয়ামসন বলেন, দুই বছরের মধ্যে প্রথমবার উৎপাদন শিল্প নিচের দিকে যাচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়া বাজারে পড়ছে। জিনিসের দামও বাড়ছে। অত্যাবশ্যক নয় এমন জিনিস চাপের মুখে পড়েছে।

গত সোমবার ইউরোজোন সেন্ট্রাল ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাবধান করে দিয়ে বলেন, এরপর যদি শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সঙ্কট দেখা দেয়, তাহলে মন্দা আসতে পারে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে