Naya Diganta

নিরাপদ অভিবাসনের জন্য কমপ্যাক্ট টাস্কফোর্সের যাত্রা শুরু

নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন নিশ্চিত করা এবং অভিবাসনবিষয়ক বৈশ্বিক চুক্তি জিসিএম বাস্তবায়ন, নিরীক্ষণ ও পর্যালোচনার লক্ষ্যে সরকার অভিবাসন কমপ্যাক্ট টাস্কফোর্স গঠন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে আরো ১২টি মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের সমন্বয়ে এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘ অভিবাসন নেটওয়ার্ক সহযোগিতা করবে।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই টাস্কফোর্সের যাত্রা শুরু হয়েছে। সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘের অভিবাসনবিষয়ক নেটওয়ার্কের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক এবং বহুপক্ষীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিবাসনকে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন (জিসিএম) বাস্তবায়নে ‘চ্যাম্পিয়ন কান্ট্রি’ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ অভিবাসনের বিষয়গুলো এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, আমরা গত ৫০ বছরে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ মানুষ বিদেশে পাঠিয়েছি। জাতীয় উন্নয়নে আমাদের প্রবাসীদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তিনি বলেন, অভিবাসন বহুমাত্রিক এবং জটিল একটি বিষয়। প্রবাসীদের সুরক্ষা ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য জিসিএম একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা হিসেবে আমাদের ব্যাপক সাহায্য করছে। টাস্কফোর্সের উদ্বোধন এই প্রচেষ্টা বাস্তবায়নকে আরো ত্বরান্বিত করবে। নীতিনির্ধারণ, পরিকল্পনা, তথ্য আদান-প্রদান এবং পর্যালোচনার ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে ভূমিকা রাখবে এই টাস্কফোর্স।
বাংলাদেশে জাতিঙ্ঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশ সরকার অভিবাসনকে শুধু উন্নয়নের পথ হিসেবেই বিবেচনা করেনি, এটিকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা নিয়ে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রাধান্য দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় টাস্কফোর্স আরেকটি পদক্ষেপ। আমাদের যৌথ প্রচেষ্টা অভিবাসীদের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করবে এবং অভিবাসনকে কার্যকরভাবে পরিচালনা করবে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান ও বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘ অভিবাসন নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক আবদুসাত্তর এসয়েভ বলেন, অভিবাসন যখন খারাপভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, তখন এটি নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। জিসিএম অভিবাসনের বিভিন্ন ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জগুলোকে বিবেচনায় রেখে অভিবাসীদের সামগ্রিক সুবিধা প্রদানে ভূমিকা রাখছে। জাতিসঙ্ঘ অভিবাসন নেটওয়ার্ক সরকারের গঠিত টাস্কফোর্সের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে জিসিএম বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ।