Naya Diganta

চট্টগ্রামে ইভ্যালির সাবেক সিইও ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

মোসা: শামীমা নাসরিন ও মোহাম্মদ রাসেল

প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স ভিক্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান মোসা: শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করা হয়েছে।

নগরীর চকবাজার থানার ডিসি রোডের ব্যবসায়ী চৌধুরী নাঈম সরোয়ার মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল হাসনাত মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পণ্য ক্রয়ে লোভনীয় অফারে প্রতারিত হয়ে এবং চেক ডিজঅনারের অভিযোগে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ আনা হয়, চৌধুরী নাঈম সরোয়ার ইভ্যালির বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার মোটরসাইকেল অর্ডার দেন। কিন্তু দীর্ঘসময়ে তার কাছে কোনো মোটরসাইকেল সরবরাহ করা হয়নি। পরে ইভ্যালির অফিস থেকে একটি চেক দেয়া হয়। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে প্রত্যাখ্যাত হয়।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী মো: ফারুক মামলা দুটি দায়ের করেন।

এর আগে গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে চেক প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামের আরেক ব্যবসায়ী একই আসামিদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরু করে মাত্র আড়াই বছরের মাথায় সরবরাহকারী কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছে ৫৪৩ কোটি টাকার দায়ে পড়ে ইভ্যালি। এত অল্প সময়ে বিপুল টাকা কোথায় গেল, তার হদিস এখনো মেলেনি।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান শেষে এ দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে একাধিক মামলা করেন ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

সূত্র : ইউএনবি

দেখুন: