Naya Diganta

জমজমাট কোরবানির পশুর হাট, প্রস্তুত ২২ হাজার পশু

জমজমাট কোরবানির পশুর হাট, প্রস্তুত ২২ হাজার পশু

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কোরবানির সময় যত ঘনিয়ে আসছে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার একমাত্র পশুর হাট ভূরুঙ্গামারী হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় ততই বাড়ছে। উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ২২ হাজার গবাদি পশু।

মঙ্গলবার উপজেলার একমাত্র পশুরহাট ভূরুঙ্গামারী হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু নিয়ে হাটে এসেছেন কৃষক, খামারি ও গরু ব্যবসায়ীরা।

তারা জানান, কোরবানি উপলক্ষে ভূরুঙ্গামারীর কৃষক ও খামারিরা প্রতি বছর পশু মোটাতাজা করে থাকেন। গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধির পরও কোরবানির পশুর দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয় ভূরুঙ্গামারীর পশু।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার পশুর প্রয়োজন হবে। কৃষক ও খামারিরা মিলে প্রায় ২১ হাজার ৬০৩টি গবাদি পশু প্রস্তুত করেছেন। যার মধ্যে ছয় হাজার ৯২৭টি ষাঁড়, তিন হাজার ১৭০টি গাভী, ১৬০টি বলদ, আট হাজার ৭৫১টি ছাগল ও দু’হাজার ৫৯৫টি ভেড়া মোটাতাজা করা হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পরও কিছু উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানান দফতর।

গরু বিক্রেতা মজিদ আলী বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের দু’টি বড় ষাঁড় নিয়ে হাটে এসেছি। ষাঁড় দু’টির দাম চাচ্ছি ছয় লাখ টাকা। ক্রেতারা চার লাখ টাকা দাম বলেছেন। এই দামে বিক্রি করলে লোকসান হবে।

খামারী মঞ্জুর আলী বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় একদিকে গরু পালনের খরচ বেড়ে গেছে। অপরদিকে ভারত থেকে গরু আসছে। এতে খামারিদের লোকসান হবে।

ফিরোজ নামের এক ক্রেতা বলেন, গরুর দাম বেশি। বিক্রেতারা মাঝারি সাইজের (৮০ থেকে ১০০ কেজি ওজনের) গরুর দাম চাচ্ছেন ৬৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা। মাঝারি সাইজের একটি গরু ৭০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছি।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার পশু মজুদ রয়েছে। পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মেডিক্যাল টিম পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা দিচ্ছেন।